মহারাষ্ট্র আর কর্ণাটকে ধারাবাহিক অভিযান। আর সেই অভিযানে অন্তত ১৫জন জঙ্গিকে পাকড়াও করল এনআইএ। মূলত ISIS নেটওয়ার্ক কিছু এদেশে থাকলে সেটা একেবারে গুড়িয়ে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
ধৃতদের মধ্য়ে একজন ISIS মডিউলের নেতাও রয়েছেন। সে মূলত নতুন নিয়োগ হওয়া যুবককে শপথ নেওয়াতো। শনিবার ভোর থেকেই শুরু হয় এই অভিযান। থানে, মীরা রোড, পুনে, বেঙ্গালুরু সহ কর্ণাটকের বিভিন্ন জায়গায় এই অভিযান চলে। মূলত যে সমস্ত লোকজন নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর কাজে সহায়তা করার চেষ্টা করছে তাদেরকেই পাকড়াও করার চেষ্টা করে এনআইএ। সেই মতো চলে অভিযান।
অভিযানে নেমে এনআইএ প্রচুর হিসেব বহির্ভূত টাকা, আগ্নেয়াস্ত্র,ধারালো অস্ত্র, স্মার্টফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আইএসআইএস মহারাষ্ট্র মডিউলের অংশ হিসাবে ওরা কাজ করত। ওরা বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি কার্যকলাপ চালাত। বিদেশি কিছু শক্তি ওদের টাকা দিত। এমনকী ওরা কিছু গ্রামে মুক্তাঞ্চল বলেও ঘোষণা করে দিয়েছিল। গোটা দেশ জুড়ে ওরা হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছিল। মূলত একাধিক হিংসাত্মক আদর্শের উপর কাজ করত ওরা।
জেহাদি আদর্শকে ওরা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। খিলাফত, আইএসআইএসের ভাবধারাকে ছড়িয়ে দিয়ে গোটা দেশে একটা হিংসাত্মত কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ওরা। দেশের সাম্প্রদায়িত সম্প্রীতিকে নষ্ট করতে ওরা একেবারে উঠেপড়ে লেগেছিল। তবে তাদেরকে পাকড়াও করল এনআইএ।
এমনকী থানের একটা গ্রাম পাদঘাকে ওরা একেবারে মুক্তাঞ্চল বা আল শাম বলে ঘোষণা করেছিল। এমনকী তারা মুসলিম যুবকদের সংগঠনের আওতায় আনার চেষ্টা করছিল। ধৃতদের মধ্যে মূল পাণ্ডা হল সাকিব নাচান।
আইএসআইএস-এর মহারাষ্ট্র মডিউলকে তছনছ করে দিতে অভিযানে নেমেছিল আইএসআইএস। পরপর ১৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূলত ভারত বিরোধী তারা প্রচার করা শুরু করেছিল। হিংসা ছড়ানোর জন্য় নানা ছক কষছিল। তাদের কাছ থেকে আপত্তিকর নথি উদ্ধার করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল ১৫জনকে।