আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নির্ভয়ার মা। যেভাবে বিভিন্ন আইনি জটিলতায় পিছিয় যাচ্ছে নির্ভয়া কাণ্ডে দণ্ডিতদের সাজা, তাতে অত্যন্ত হতাশ আশা দেবী। এদিন দুইবার কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এরপর আদালতকক্ষ ছেড়ে চলে যান আশা দেবী ও হতাশা ব্যক্ত করেন যে আদালত বুঝতে পারছে না কীভাবে এই মামলায় সাজার প্রক্রিয়া দেরি করছে দোষীরা।
নির্ভয়ার মা বলেন যে তিনি গত দেড় বছর ধরে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কিন্তু কোনও আইনি সুরাহা পাচ্ছেন না। আশাদেবী বলেন যে তাঁর অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। এখনই মৃত্যু সমন দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। আদালত দোষী পবন গুপ্তকে উকিল দেওয়ার কথা বলার পরেই প্রতিবাদে এই কথা বলেন নির্ভয়ার মা।
পবন গুপ্তর বাবা আদালতে বলেন যে কোনও উকিল তার মামলা লড়তে চাইছেন না। নির্ভয়াকে গণধর্ষণ ও হত্যা করার জন্যে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এখন অবশ্য এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে আদালতে শরণাপন্ন হয়েছে দোষীরা। এরফলেই প্রথমে ২২ জানুয়ারি ও পরে পয়লা ফেব্রুয়ারি ফাঁসি হয়নি চার দোষীর।
উকিল না দিতে নির্ভয়ার মার অনুরোধ মানেনি আদালত। অতিরিক্তি সেশনস বিচারপতি ধর্মেন্দর রানা বলেন যে তাঁকে আইন মোতাবেক কাজ করতে হবে। এরপরেই হন্তদন্ত হয়ে আদালত থেকে চলে যান আশাদেবী। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বলে যে দোষীরা ট্রায়াল কোর্টে যেতে পারেন ফাঁসির নয়া দিনের বিষয়।
ট্রায়াল কোর্ট, দিল্লি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে চার দোষীর পিটিশন। ছয় অভিযুক্তর মধ্যে একজন আত্মহত্যা করেছিল। আরেকজন নাবালক বলে তিন বছরের সাজা পেয়েছিল।অন্য চার অভিযুক্ত মুকেশ, বিনয়, অক্ষয় ও পবনকে ২০১৩ সালে ফাঁসির সাজা দেয় ট্রায়াল কোর্ট। তখন থেকেই চলছে আইনি প্রক্রিয়া।