গরিবের কল্যাণের ক্ষেত্রে আইন বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। যদি কোনও আইন বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে তা লঙ্ঘনের পূর্ণ অধিকার আছে সরকারের। যে কথা বলেছেন মহাত্মা গান্ধী। এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় সড়কমন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। তাঁর বক্তব্য, আমলারা কী বলেন, তার ভিত্তিতে সরকার চলে না।
বুধবার নাগপুরে মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'আমি খুব ভালোভাবে জানি যে গরিবের কল্যাণের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে না কোনও আইন। যদি এরকম কোন আইন ১০ বার ভাঙতে হয়, আমাদের ছিঁটেফোটা দ্বিধাবোধ করা উচিত নয়। সেটাই বলেছেন মহাত্মা গান্ধী।'
নিজের রাজনৈতিক জীবনের উদাহরণ দিয়ে গডকড়ি দাবি করেন, ১৯৯৫ সালে মহারাষ্ট্রে মুরলি মনোহর জোশীর সরকারের আমলে সেরকম একটি কাজ করেছিলেন। সেইসময় মহারাষ্ট্রের দুটি জায়গায় অপুষ্টির জন্য অনেক আদিবাসী শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। গ্রামে কোনও রাস্তা ছিল না এবং রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছিল বন্য আইন।
আরও পড়ুন: Nitin Gadkari on EV: ২ বছরের মধ্যে ইলেকট্রিক ও পেট্রল গাড়ির দাম সমান হয়ে যাবে
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'আমি বরাবর আমলাদের বলে এসেছি, আপনারা যেটা বলবেন, সেটা অনুযায়ী সরকার চলবে না। আপনাদের শুধু হ্যাঁ স্যার বলতে হবে। মন্ত্রীরা যা বলছেন, সেটা আপনাদের কার্যকর করতে হবে। সরকার আমাদের মতো কাজ করবে।'
'টোলপ্লাজা উঠে যাবে'
সম্প্রতি গডকড়ি জানান, ছয় মাসের মধ্যে দেশে সব হাইওয়ে থেকে টোলপ্লাজার ব্যবস্থা উঠে যাবে। পরিবর্তে গাড়ির নম্বর প্লেটের থেকেই সরাসরি টোল কেটে নেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে পারে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর মতে, টোলপ্লাজা দেশের অনেক সমস্যার কারণ। লম্বা লাইনে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। যানজট তৈরি হয়। তাই বিকল্প উপায় খোঁজা হচ্ছে। ‘সরকার দুটি বিকল্প পথ খুঁজছে। উপগ্রহভিত্তিক জিপিএস ব্যবস্থার কথা ভাবছে সরকার। তাহলে গাড়ির মালিকের অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি টাকা কেটে নেওয়া হবে বা নম্বর প্লেট থেকে সরাসরি টাকা কেটে নেওয়া হবে, এমন বিকল্পের কথাও ভাবা হচ্ছে।’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্যাটেলাইট ব্যবহার করে জিপিএস ব্যবহার করতে চাই ফাস্ট্যাগের বদলে। নয়া পদ্ধতি চালু করার প্রক্রিয়ায় আছি আমরা এবং এর ভিত্তিতে আমরা টোল নিতে চাই। নম্বর প্লেটেও প্রযুক্তি পাওয়া যায় এবং ভারতেও অন্যান্য আরও ভালো প্রযুক্তি পাওয়া যায়। আমরা নির্দিষ্ট প্রযুক্তি বেছে নেব। যদিও আমরা আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিইনি। আমার দৃষ্টিতে নম্বর প্লেট প্রযুক্তিতে কোনও টোলপ্লাজা থাকবে না এবং একটি অত্যাধুনিক কম্পিউটারাইজড ডিজিটাল সিস্টেম থাকবে, যার মাধ্যমে আমরা চালকদের স্বস্তি দিতে পারি। কোনও লাইন থাকবে না এবং মানুষ বড় স্বস্তি পাবে। ছয় মাসের মধ্যে আমি এটি করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। দেশের মানুষকে যানজটের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এটি জরুরি।’