টাকা বা উপহার দিতে হত অমরিন্দর সিংয়ের ‘বন্ধু’ আরুসা আলমকে। তবেই পঞ্জাব পুলিশে কোনও পোস্টিং হত। এমনই অভিযোগ তুললেন পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুর স্ত্রী নভজ্যোত কৌর।
শনিবার পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি স্ত্রী নভজ্যোতকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই বলেছে, ‘আরুসা আলমকে কোনও উপহার বা টাকা দেওয়া ছাড়া পঞ্জাব পুলিশে একটাও পোস্টিং হত না।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘পুরো ঘটনাই জানেন প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই বিষয়ে তাঁদের ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এমনিতে প্রায়শই পঞ্জাবের রাজনীতিতে পাকিস্তানের প্রাক্তন রাজনীতিবিদ আকলিম আখতারের মেয়ে আরুসার নাম উঠে আসে। যিনি সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত। গত শুক্রবার পঞ্জাবের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুখজিন্দর সিং রানধাওয়াকে উদ্ধৃত করে এএনআই বলে, ‘ওঁরা (অমরিন্দর সিং) এখন বলছেন যে আইএসআইয়ের বিপদের বার্তা আছে। ওটার (আইএসআই) সঙ্গে ওই মহিলার (আরুসা) যোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখব। পাকিস্তান থেকে আগত ড্রোনের বিষয়টি গত ৪.৫ ধরে উত্থান করে যাচ্ছেন ক্যাপ্টেন।’ সঙ্গে সুখজিন্দর যোগ করেন, ‘প্রথমে ক্যাপ্টেন বিষয়টি উত্থাপন করেন। তারপর পঞ্জাবে বিএসএফ মোতায়েন করা হয়। আমরা ডিজিপিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলব।’
উল্লেখ্য, একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৪ সালে যখন অমরিন্দর পাকিস্তানে গিয়েছিলেন, তখন আরুসার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। বছরতিনেক পরে ২০০৭ সালে আরুসার সঙ্গে অমরিন্দরের ‘সম্পর্ক’ নিয়ে গুঞ্জন উঠেছিল। সেই সময় চণ্ডীগড় প্রেস ক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে এসে আরুসা দাবি করেছিবেন, ‘আমি ওঁনার বন্ধু এবং তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নেই।’ তারইমধ্যে চলতি বছরের অগস্টেই সিধুর তত্কালীন উপদেষ্টা মলবিন্দর সিং মালি আরুসা ও ক্যাপ্টেনের ছবি পোস্ট করে বলেছিলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম যে এটা আপনাদের (আরুসা এবং ক্যাপ্টেনের ‘বন্ধুত্ব’) ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু এখন আপনি নভজ্যোত সিধুর উপদেষ্টাদের পঞ্জাবের রাজনীতির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন। আমি এটা পোস্ট করতে বাধ্য করছি।’