ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের দুই নেতার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে টানাটানির খবর নিয়ে জল্পনা রয়েছে গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই। বর্তমা মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ সিং বাঘেলকে সরিয়ে নাকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিএস সিং দেও। যা নিয়ে জল্পনার পারদ চড়েছে সপ্তমে। এরই মাঝে দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন ভূপেশ ভাগেল এবং টিএস সিং দেও। তারপর মুখ্যমন্ত্রিত্বের বদল নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ে। তবে ছত্তিশগড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা পিএল পুনিয়া জানিয়ে দিলেন এখন মুখ্যমন্ত্রী বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই।
এদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে ভূপেশ বাঘেল জানান যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কথা হয়েছে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। নেতৃত্ব নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। পুনিয়াও এএনআইকে বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রিত্বের বদল নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি রাহুল গান্ধী বা বাঘেল বা দেওয়ের মধ্যে।' এদিকে রাজনৈতিক পর্য়বেক্ষকদের মতে, রাহুল গান্ধী ছত্তিশগড়ের দুই শীর্ষ নেতার মধ্যকার বিভেদ মেটাতেই বৈঠকে বসেন। জানা গিয়েছে, বৈঠকে কেসি বেণুগোপালও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকটি রাহুল গান্ধীর বাসভবনে হয়েছিল।
কয়েকদিন ধরেই কংগ্রেসের অন্দরে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে জল্পনা চলছিল। উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরই মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে দলের অন্দরে একটা টানাপোড়েন চলছিল। এরমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তিনটি নাম উঠে এসেছিল। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন টি এস সিং দেও ও টি সাহু। ভূপেশ বাঘেল মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাকি দুজনকেও মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি সামনে আসে 'আড়াই বছরে'র তত্ত্ব। এরপরই ছত্তিশগড়ের রাজনীতিতে ঝড় ওঠে।