বড়সর বিপাকে পড়তে চলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একেবারে গদি টালমাটাল অবস্থা। এবার সংসদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফ এই অনাস্থা এনেছেন। এদিকে জাতীয় সংসদকে স্থগিত করা হয়েছে ৩১শে মার্চ। তারপর এনিয়ে বিতর্কে অংশ নিতে পারেন সাংসদরা। তার সাতদিনের মধ্যে ভোটাভুটি হতে পারে। তবে জোর জল্পনা চলছে যে ভোটাভুটির আগেই ইস্তফা দিতে পারেন ইমরান।
এদিকে পাকিস্তানের সংসদে বর্তমানে বিরোধীদের হাতে রয়েছে ১৬৮জন সদস্য। ইমরান খানতে পরাজিত করার জন্য বিরোধীদের লাগবে মোটামুটি চারটি ভোট। এদিকে শেহবাজ শরিফের হাতে রয়েছে ৮৪জন সদস্য। অন্যদিকে আসিফ আলি জর্দারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির হাতে রয়েছে ৫৬জন সদস্য।
এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে,বিরোধীদের বাদ দিয়েও একাধিক জনপ্রতিনিধি ইমরান খানের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন। এই ইঙ্গিত ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রবিবার দুজন মন্ত্রী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান স্ময়ং। প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের বক্তব্যে তিনি জানিয়েছেন,সাড়ে তিন বছরের সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্য বিদেশি চক্রান্ত রয়েছে। তবে এটা বলাই যায় অনাস্থা ভোটে হারলে ৬৯ বছরের কাপ্তানের জমানা এবার শেষ হতে চলেছে পাকিস্তানে। তবে তার আগেই কি তিনি ইস্তফা দেবেন সেই প্রশ্নও জোরালো হচ্ছে ক্রমশ।