পরিবেশ প্রতিকূল, তাই উস্কানিমূলক ভাষণের অভিযোগে রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে এখন এফআইআর দায়ের করা উচিত নয়। বৃহস্পতিবার আদালতকে জানালেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
দিল্লি দাঙ্গায় প্ররোচনামূলক ভাষণ দিয়ে জনতাকে উত্তেজিত করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির তিন নেতার বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার দাবিতে আবেদন জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক হর্ষ মন্দার। দিল্লি পুলিশের তরফে সলিসিটর জেনারেল তার বিরোধিতা করছেন বুধবার থেকেই। এ দিন তাঁর আবেদন মেনে কেন্দ্রীয় সরকারকে মামলায় তৃতীয় পক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়েছে আদালত। নিজস্ব বিবৃতি দেওয়ার জন্য আগামী ১৩ এপ্রিলের শুনানি পর্যন্ত সরকারকে সময় দিয়েছে হাইকোর্ট।
মেহতার আবেদনের বিরোধিতা করে এদিন স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল রাহুল মেহরা বলেন, ‘উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসাত্মক ঘটনাবলীর জেরে এ পর্যন্ত ৪৮টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। তা হলে এখন এফআইআর দায়েরে অসুবিধা কোথায়?’
অন্য দিকে, আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী কলিন গঞ্জালভেস বলেন, ‘এফআইআর তো শুধুমাত্র প্রাথমিক পদক্ষেপ। প্রমাণ না পাওয়া গেলে এফআইআর খারিজ হয়ে যাবে। কিন্তি পরে গ্রেফতারির সুবিধার্থে এফআইআর দায়ের হওয়া প্রয়োজন।’
এ দিন মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডি এন প্যাটেল ও বিচারপতি সি হরশংকরের হাইকোর্টের বেঞ্চে। গতকাল এই মামলারই শুনানিতে অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার জন্য পুলিশকে সদর্থক পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি সি মূরলীধর ও বিচারপতি তলওয়ান্ত সিংয়ের বেঞ্চ।
গতকালের শুনানিতে তিন অভিযুক্ত বিজেপি নেতা কপিল শর্মা, অনুরাগ ঠাকুর ও পকহেশ ভার্মার প্ররোচনামূলক ভাষণের ভিডিয়ো কেলিপিং আদালতকক্ষে পুলিশকে শোনান বিচারপতিরা।
গতকালও আদালতকে সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের আবেদন এখনই শোনার প্রয়োজন নেই এবং ভাষণ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আবেদনকারী পক্ষপাতদুষ্ট বলেও মন্তব্য করেন তুষার মেহতা।