পাঁচশো ও ১,০০০ টাকার নোট বাতিলের বিষয়টি কি আর প্রাসঙ্গিক আছে? বিষয়টি কি পুরো শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় হয়ে গিয়েছে? এমনই প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে আগামী ১২ অক্টোবর ওই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে শীর্ষ আদালত। সেদিনই ওই দুটি বিষয় বিচার করা হবে।
২০১৬ সালে নোটবন্দির সময় ৫০০ টাকা এবং ১,০০০ টাকার নোট বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার, তা চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে ৫৮ টি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি এস আবদুল নাজির প্রশ্ন করেন, 'এই বিষয়টি কি আর প্রাসঙ্গিক আছে?'
প্রত্যুত্তরে এক আইনজীবী জানান, কয়েকটি বিষয়টি চিহ্নিত করে ২০১৬ সালে মামলাটি সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি থেকে হাইকোর্টকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল। সেই সওয়ালের প্রেক্ষিতে সাংবিধানিক বেঞ্চ প্রশ্ন করে, 'প্রশ্নটা হল, বিষয়টা কি এখনও প্রাসঙ্গিক আছে?' অপর এক আইনজীবী সওয়াল করেন, মামলার দুটি দিক আছে - প্রথমত, সরকারের সিদ্ধান্তের বৈধতা এবং দ্বিতীয়ত, নোট বাতিলের ফলে মানুষের সমস্যা।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: মাসে ফলের খরচ আড়াই লাখ! পার্থ কাণ্ডের তদন্তে নেমে কপালে ভাঁজ ইডির
অন্যদিকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, 'বাস্তবিক দিক থেকে বিচার করলে এই বিষয়টি আর প্রাসঙ্গিক নয়। যদি শিক্ষাগত কারণে বিষয়টি বিবেচনা করতে চায় বেঞ্চ, তাহলে আমরা সাহায্য করতে পারি।' সেই সওয়ালের প্রেক্ষিতে সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে, 'যখন প্রচুর মামলা ঝুলে আছে, তখন শিক্ষাগত বিষয় নিয়ে কি পাঁচজন বিচারপতি সময় ব্যয় করা উচিত?' প্রত্যুত্তরে সলিসিটর জেনারেল বলেন, 'নাগরিকদের অধিকার সংক্রান্ত আরও অনেক মামলা পড়ে আছে।'
আরও পড়ুন: Enforcement Directorate: নোট বাতিলের তদন্তে নামছে ইডি, বাংলার প্রভাবশালীদের তালিকা তৈরি হচ্ছে
তারপর বিচারপতি নাজির জানান, ১২ অক্টোবর মামলার শুনানি হবে। তিনি বলেন, 'আমরা প্রথমে খতিয়ে দেখব যে বিষয়টি শিক্ষাগত হয়ে গিয়েছে কিনা এবং বিষয়টি নিয়ে এখনও শুনানি হতে পারে কিনা।'
নোটবন্দির ইতিবৃত্ত
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবন্দির ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের দাবি ছিল, সেই সিদ্ধান্তের ফলে দেশে কালো টাকার ভাণ্ডার নিঃশেষ হয়ে যাবে। যদিও বিরোধীদের দাবি, কালো টাকা তো কমেইনি, উলটে কোটি-কোটি মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছিলেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুরনো নোট (৫০০ টাকা এবং ১,০০০ টাকা) অচল হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছিল আমজনতার। পুরনো নোট পালটে নয়া নোটের জন্য হত্যে হয়ে ব্যাঙ্ক, এটিএমের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছিল।