তাঁর চেহারা বলে দেয় তিনি খাদ্যরসিক। সেটা জানেনও সবাই। কিন্তু তাঁর খাদ্যতালিকায় বিপুল পরিমাণ ফল থাকত সে কথা অনেকেরই অজানা। ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে তদন্তে নামতেই অফিসারদের কপালে ভাঁজ পড়েছে। হ্যাঁ, তিনি একদা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর রসনাবিলাসের কীর্তিকাহিনি জানতে পেরে ইডি কর্তাদের চোখ কপালে উঠেছে। এই ফলাহারের খরচ সামনে আসতেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আধিকারিকরা স্তম্ভিত হয়ে পড়েছেন।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফলাহারের খরচ মাসে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। নিউ মার্কেট থেকে তাঁর নাকতলার বাড়িতে ফল আসত। প্রাক্তন মন্ত্রীই কী কী ফল খাবেন তা বলে দিতেন। দৈনিক ফলাহারের বিল হতো সাত থেকে আট হাজার টাকা। এই তথ্য আরও বিস্তারিত জানতে তদন্তে নেমেছেন ইডি অফিসাররা। এভাবেও এসএসসি’র নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হতো বলে মনে করছেন তাঁরা। তাই এখন ফল বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা।
আর কী জানা যাচ্ছে? ইডি সূত্রে খবর, আগামীকাল, বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। দু’জনকে আরও কিছুদিন হেফাজতে রাখতে চান ইডি অফিসাররা। সেই কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে আর কী কী নতুন মামলা বা ধারা যোগ করা যায় তা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ চলছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের ডিএলএলড কলেজগুলিরও একটি দুর্নীতির বিষয় ইডি আধিকারিকদের সামনে এসেছে বলে অভিযোগ। এই কলেজগুলিকে প্রতি বছর রাজ্য শিক্ষা দফতরের কাছ থেকে একটি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) নিতে হয়। তা না হলে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যায়। ইউজিসির বিভিন্ন গ্রান্টও বন্ধ হয়ে যায়। ইডির দাবি, এই এনওসির জন্য কলেজগুলিকে ৮ লক্ষ টাকা দিতে হতো। সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।