হরিয়ানার নুহতে ভয়াবহ হিংসা দমাতে ময়দানে নেমেছিল পুলিশ। এবার এই ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে। মঙ্গলবার এক অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে এনকাউন্টারে নামে পুলিশ। তার পায়ে গুলি করা হয়েছে। তাউরু এলাকায় তাকে গুলি করা হয়।
ওয়াসিম নামে ওই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। লুঠপাট,খুন সহ নানা অভিযোগ। তার মাথার দাম ধার্য হয়েছিল ২৫০০০ টাকা। যুবকের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল ও পাঁচটি গুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পায়ে গুলি লেগেছে বলে খবর। তার চিকিৎসা চলছে। তবে এক সপ্তাহের মধ্য়ে এনিয়ে দ্বিতীয়বার এনকাউন্টার হল নুহতে। পুলিশ ওই অভিযুক্তকে গত কয়েকদিন ধরেই খুঁজছিল। এদিন সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, দুজনকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্য়ে একজনের পায়ে গুলি লেগেছে। সাখো গ্রামে পাহাড়ি এলাকায় এই এনকাউন্টার হয়। ওই দুই অভিযুক্ত পুলিশ আসছে দেখেই বাইক নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তখনই পুলিশ পা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তারা বাইক থেকে পড়ে যায়। তাদের কাছ থেকে বাইকটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। এছাড়াও পিস্তল ও গুলি পাওয়া গিয়েছে। ওই ঘটনায় আর কারা যুক্ত ছিল তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
এদিকে নুহতে হিংসা দমাতে একেবারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছিল পুলিশ। গত ৩১ জুলাই ব্রজ মণ্ডল যাত্রার উপর অতর্কিতে হামলা হয়েছিল। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে ওই মিছিল বের হয়েছিল। তখনই সেই মিছিলের উপর হামলা হয়। এই ঘটনায় অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই হিংসার আঁচ পাশের গুরুগ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছিল। পুলিশ পরে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিল।
সম্প্রতি বিট্টু বজরঙ্গি বলে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ফরিদাবাদ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি আবার নিজেকে গোরক্ষক বলে দাবি করেছেন। বিট্টুর বিরুদ্ধে আগেই এফআইআর করা হয়েছিল। এবার অপর দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিল পুলিশ। একজনের তো এনকাউন্টারের জেরে পায়ে গুলি লেগেছে বলেও খবর।