কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে করোনা রেড জোনেও বেসরকারি অফিস খোলা যেতে পারে।তাই আজ থেকে আপনি রেড জোনে থাকলেও অফিসে যেতে পারেন।
তবে ৩৩ শতাংশের বেশি কর্মী যেন না আসে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি অফিসে ডেপুটি সেক্রেটারি ও তার ওপরের পদের কর্মীদের হাজিরা আবশ্যক। অন্যান্য সরকারি কর্মীদের এক তৃতীয়াংশকে আসতে হবে। তবে যে কোনও জোনের ক্ষেত্রেই কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র যা মানতেই হবে। সেগুলি হল-
মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক অফিসে। পর্যাপ্ত স্টক রাখতে হবে অফিসে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে অফিসে ও যে গাাড়িতে করে কর্মীরা অফিসে আসবেন তাতে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য একসঙ্গে লাঞ্চ ব্রেক দিলে চলবে না। প্রতিটি শিফ্টের মধ্যে গ্যাপ রাখতে হবে।
থার্মাল স্ক্যানার, হ্যান্ডওয়াশ ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। হ্যান্ডওয়াশ ও স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত স্টক থাকতে হবে। কন্ট্যাক্ট ফ্রি ভাবে এইগুলি ব্যবহার করার সুযোগ দিতে হবে অফিসে।
৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে মানুষ, এমন ব্যক্তি যাদের কোমর্বিডিটি আছে, গর্ভবতী মহিলা ও দশ বছরের কম বয়সী শিশুদের বাড়িতে থাকতে হবে।
সরকারি ও বেসরকারি, উভয় ক্ষেত্রেই সমস্ত কর্মীকে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
সবাই আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করেছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে হবে সংস্থার প্রধানকে।
অনেক লোকজনকে নিয়ে বৈঠক করা চলবে না অফিসের মধ্যে।
কাছে পিঠে হাসপাতাল যেখানে কোভিডের চিকিত্সা হয়, তার তালিকা ঝুলিয়ে রাখতে হবে অফিসে।কেউ সামান্যতম করোনার চিহ্ন দেখালেও, তাকে টেস্টিংয়ের জন্য পাঠাতে হবে। আইসোলেশন জোন রাখতে হবে অফিস, যেখানে প্রয়োজন পড়লে কাউকে রাখা যেতে পারে।
যেখানে গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু নেই, সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অফিসকে গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে।