বিগত বহু বছর ধরেই দারিদ্রে ভুগছে পাকিস্তান। এরই মাঝে করোনা মহামারী আরও বিধ্বস্ত করেছে সেদেশের অর্ধনীতিকে। এবার পাকিস্তানের সামনে আরও একটি বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব এখন ইমরান খান সরকারের ওপরও পড়তে শুরু করেছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানে পেট্রোলিয়াম পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এবং এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে মাত্র পাঁচ দিনের ডিজেল মজুদ রয়েছে সেদেশে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানি ব্যাঙ্কগুলিও তেল কোম্পানিগুলিকে উচ্চ-ঝুঁকির ক্যাটাগরিতে রেখেছে এবং ঋণ দিতে অস্বীকার করেছে। ডিজেলের মজুদ কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে পাকিস্তানের ইমরান সরকারও। একদিকে বিরোধী দলগুলি সংঘবদ্ধ, অন্যদিকে দেশে ডিজেলের মজুদ কমে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এর জেরে আরও চাপ বাড়বে ইমরান খানের সরকারের উপর।
কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের (সিপিআই) মাধ্যমে পাকিস্তানের সাধারণ মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপ করা হয়। বর্তমানে পাকিস্তানের সিপিআই গত ২৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। বর্তমানে ১৩ শতাংশে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেদেশের সিপিআই। প্রায় সমস্ত পণ্যের দাম বাড়ছে সেখানে। ডন সংবাদপত্রের মতে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এটি সর্বোচ্চ সিপিআই মুদ্রাস্ফীতি। এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১৪.৬ শতাংশ।
এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রবিবার তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য বিরোধীদের আক্রমণ করে বলেছিলেন, তিনি 'আলু, টমাটো'-এর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে রাজনীতিতে আসেননি। এই আলটপকা মন্তব্যের জেরে তিনি রাজনৈতিক ভাবে এমনিতেই চাপে ছিলেন। আর এবার দেশে জ্বালানি তেলের অভাব দেখা দেওয়ায় মাথায় হত পড়তে পারে সাধারণ পাকিস্তানি নাগরিকদের।