টিকাকরণ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের প্রশ্ন বাণে বিদ্ধ কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা যুদ্ধে জেতার একমাত্র পথ টিকাকরণ। সেই টিকাকরণের নীতি নিয়ে বারংবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে মোদী সরকার। এদিন সুপ্রিমকোর্টেও টিকাকরণ নীতি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল কেন্দ্রকে। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য বিনামূল্যে টিকাকরণ এবং তার নীচের বয়সসীমার নাগরিকদের জন্য টাকার বিনিময়ে টিকার নীতি অযৌক্তিক এবং স্বেচ্ছাচারিতা।
এদিন আদালত এই প্রসঙ্গে বলে, করোনা আবহে টিকাকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে এটা স্পষ্ট যে, যাঁদের বয়স ১৮ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে, তাঁরা অনেক সংখ্যায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই বয়সীরাই করোনায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বর্তমানে। এঁদের অনেককেই দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়েছে। এমনকী অনেকেরই মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে। করোনা প্রাণ কেড়েছে তাঁদের।
এরপর সুপ্রিম কোর্ট বলে, যেহেতু করোনা ভাইরাস তার চরিত্র বদলে ফেলেছে, তাই আমরা এমন একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়া দরকার। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানসম্মতভাবেই টিকাকরণের জন্য বিভিন্ন বয়সসীমার মানুষকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট আরও বলে, 'দেখা যাচ্ছে, ১৮ থেকে ৪৪ বছরের ব্যক্তিদের জন্য টিকাকরণ অত্যন্ত জরুরি। এর আগে টিকাকরণের প্রথম দু'টি পর্যায়ে বিনামূল্যে টিকাকরণের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে, ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের জন্য টাকার বিনিময়ে টিকার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে টাকা দিয়ে টিকা কিনতে বলা হয়েছে। এছাড়া, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও টাকার বিনিময়ে টিকাকরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা অযৌক্তিক এবং স্বেচ্ছাচারিতা।'