গো ফার্স্টের শ্রীনগর-শারজা বিমানকে আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিল না পাকিস্তান। সূত্র উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই। ওই সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, বিষয়টি ইতিমধ্যে বিদেশ মন্ত্রক, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর গিয়ে আবারও শ্রীনগর-শারজা বিমান চলাচলের সূচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যে রুটে প্রায় ১১ বছর পরে বিমান চলতে শুরু করেছে। ২০০৯ সালে সেই রুটে বিমান চালাত এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। কিন্তু পরে সেই রুটে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ জানান, পুরো ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। টুইটারে তিনি বলেন, '২০০৯-২০১০ সালে শ্রীনগর-দুবাই এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমানের ক্ষেত্রেও একই কাজ করেছিল। আমি আশা করেছিলাম যে গো ফার্স্টের বিমানকে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ফলে দু'দেশের সম্পর্ক শুধরানোর ইঙ্গিত মিলছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সেটা হল না। ' পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি আবার কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে অভিযোগ করেছেন, স্রেফ প্রচারের অঙ্গ হিসেবে সেই বিমান চালু করা হয়েছিল। বাস্তবে কী কী প্রয়োজন, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘শ্রীনগর থেকে আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতিও যে চায়নি কেন্দ্রীয় সরকার, তা দেখে আমি হতবাক।’
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিমানকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল পাকিস্তান। সেই রুট ধরেই জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে রোমে যান মোদী। স্কটল্যান্ডে জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর ফেরেনও সেই পথ দিয়ে।