সভাপতিত্বে ছিল ‘বন্ধু’ চিন। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হল না। বরং জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির অর্থের জোগান রুখতে ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকা’ রেখে দিল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। নাম গোপন রাখার শর্তে একথা জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানের বিষয়ে নজরদারি চালানো আন্তর্জাতিক সংগঠনের তৃতীয় এবং শেষ প্লেনারি বৈঠক হয়। সভাপতিত্বে ছিলেন চিনের শিয়াঙ্গমিন লিউ। সেখানে ইসলামিক স্টেট (আইসিস) এবং আল কায়দার বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের অর্থের জোগান এবং এফএটিএফে জার্মানির সভাপতিত্বের বিষয়ে আলোচনা হয়।
ওই আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগামী অক্টোবরের বৈঠক পর্যন্ত পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকা’-য় থাকতে হবে। তবে এফএটিএফের সিদ্ধান্ত একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল। কারণ অর্থের জোগান রুখতে যে ২৭ টি অ্যাকশন প্ল্যান দেওয়া হয়েছিল, তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে ইসলামাবাদ।
আন্তর্জাতিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, মাত্র ১৪ টি অ্যাকশন প্ল্যানের ‘অনেকটা সমাধান’ করেছে পাকিস্তান। বাকিগুলিতে ইমরান খান প্রশাসনের অগ্রগতি বিভিন্ন স্তরে রয়েছে। এফএটিএফের তরফে কড়া ভাষায় জানানো হয়েছে, আর্থিক তছরুপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশ একেবারেই আলগা করা হবে না এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থের জোগান রোখার ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের প্রভাব কতটা পড়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হবে। প্রসঙ্গত, করোনার কারণেই অ্যাকশন প্ল্যান পূরণের জন্য বাড়তি চার মাস সময় পেয়েছিল পাকিস্তান। তাতেও অবশ্য নিজেদের মুখ বাঁচাতে পারল না পাকিস্তান।