পাকিস্তানে একেবারে ভয়াবহ আর্থিক দুরবস্থা। কিছুদিন আগেই প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দাবি করেছিলেন, পাকিস্তানকে ভিক্ষের বাটি নিয়ে বের হতে হচ্ছে। কার্যত হলও তেমনটাই। সূত্রের খবর, এবার চিন আর সৌদি আরবের কাছে পাকিস্তান হাত পাতছে বলে খবর। চিন ও সৌদি আরবের কাছে পাকিস্তান সব মিলিয়ে ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চাইছে বলে খবর।
পাকিস্তানের ডন পত্রিকায় এই সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে কেয়ারটেকার ফিনান্স মিনিস্টার সমসদ আখতার সম্প্রতি সেনেট স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে বিষয়টি জানান। অর্থ ও রাজস্ব সংক্রান্ত সেনেট স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়।
আসলে অর্থনীতির বেহাল দশা থেকে মুক্তির জন্য পথ খুঁজছে পাকিস্তান। মন্ত্রী জানিয়েছেন, কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার উল হক কাকরের কাছে এনিয়ে দ্রুত প্ল্যানিংটা জানানো হবে। সেনেট স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছেও বিষয়টা জানানো হবে। অর্থনীতিকে চাঙা করার বিশেষ পলিসি আনা হচ্ছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, গঠনগত সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে কিন্তু সেটা করার অত্যন্ত কম সুযোগ রয়েছে পাকিস্তানের কেয়ারটেকার সরকারের। তবে আইএমএফের শর্ত পূরণের জন্য কিছু সংস্কার করা যেতে পারে। আইএমএফের কাছ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার লোন চাইছে পাকিস্তান। অক্টোবর মাসে এনিয়ে আইএমএফের সঙ্গে কথা হবে বলে খবর।
পাক অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য সরকারের অগ্রাধিকার হল আইএমএফের শর্তগুলি পূরণ করা। তিনি জানিয়েছেন, আইএমএফ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার আসার আশায় রয়েছে পাকিস্তান। চিন ও সৌদি আরবের কাছ থেকে ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আবেদন করেছে দেশ।
তবে তিনি জানিয়েছেন, আইএমএফ ইতিমধ্য়েই ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মঞ্জুর করেছে। আরও ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
তবে আপাতত চিন আর সৌদি আরবের দিকে তাকিয়ে আছে পাকিস্তান। কারণ আইএমএফের কাছ থেকে কবে লোন আসবে তা নিশ্চিত নয়। সেক্ষেত্রে এখন ভরসা বলতে চিন আর আরব।