অফিসেই সহকারীকে চুমু খেয়ে পদত্যাগ ব্রিটেনের স্বাস্থ্যসচিবের, নয়া দায়িত্বে পাক বংশোদ্ভূত সাজিদের

কীভাবে চুমু খাওয়ার ভিডিয়ো ফাঁস হয়ে গিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখবে সরকার।

সাজিদ জাভিদ (বাঁদিকে, ছবি সৌজন্য রয়টার্স), হ্যানককের চুমু খাওয়ার ছবি (ডানদিকে, ছবি সৌজন্য টুইটার)

অফিসের মধ্যেই নিজের সহকারীকে চুমু খেয়ে বিতর্ক জড়িয়েছিলেন। তার জেরে ইস্তফা দেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানকক। তারপরই পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত সাজিদ জাভিদকে নয়া স্বাস্থ্যসচিব হিসেবে ঘোষণা করা হল। যিনি রাজস্ববিভাগের চ্যান্সেলর ছিলেন। 

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে হ্যানককের একাধিক ছবি ও ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়। যিনি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ব্রিটেনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। সেই ছবিতে দেখা যায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অফিসের মধ্যেই নিজের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সহকারীকে জড়িয়ে চুমু খাচ্ছেন হ্যানকক। তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। করোনা বিধি ভঙ্গের অভিযোগে হ্যানককের ইস্তফার দাবিতে সরব হয় বিরোধী দল লেবার পার্টি। ক্রমশ চাপ বাড়তে থাকে বরিস জনসনের সরকারের উপর। ক্রমবর্ধমানে চাপের মুখে ইস্তফা দেন হ্যানকক। সঙ্গে বলেন, ‘নির্দেশিকা ভঙ্গের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। এই পরিস্থিতির মধ্যে ফেলার জন্য আমার পরিবার এবং প্রিয়জনদের কাছেও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

হ্যানককের ইস্তফার পর নয়া স্বাস্থ্যসচিব হিসেবে সাজিদের নাম ঘোষণা করে ডাউনিং স্ট্রিট। নয়া দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজস্ববিভাগের চ্যান্সেলর বলেন, 'এই কঠিন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসচিবের দায়িত্ব পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি। মহামারীর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে সহযোগিতা এবং আবারও মন্ত্রিসভায় সামিল হয়ে দেশের সেবা করার জন্য মুখিয়ে আছি।'

তারইমধ্যে রবিবার সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কীভাবে হ্যানককের চুমু খাওয়ার ভিডিয়ো ফাঁস হয়ে গিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখবে ব্রিটেন সরকার। নর্দান আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী ব্র্যান্ডন লুইস স্কাই নিউজকে বলেন, 'আমি যতটা জানি, তাতে কীভাবে ওই রেকর্ডিং প্রশাসনের বাইরে বেরিয়ে গেল, তা তদন্ত করে দেখবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।'