রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। বিজেপি বিরোধী দলগুলির সমবেত পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা। তাঁর প্রচারের কর্মকাণ্ডের গেমপ্ল্যানে মারাঠা স্ট্রংম্যান শরদ পাওয়ার। উল্লেখ্য, এই শরদ পাওয়ারকেই বিরোধীরা আগে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন জানায়। তবে তা তিনি খারিজ করলেও এবার যশবন্ত সিনহার প্রচারে কার্যত তিনিই নেতৃত্বে রয়েছেন।
এদিকে, বিরোধী রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা যাচ্ছেন কাশ্মীরে। ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ইলেক্টোরাল কলেজে সংসদের দুটি কক্ষ এবং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির আইনসভার নির্বাচিত সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভা এখনও নির্বাচিত হয়নি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ সুধীন্দ্র কুলকর্নী বলছেন, যশবন্তের এই সফর কেবলই সেখানের মানুষের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপনের হেতু। এদিকে, বিরোধী দলগুলির সিনিয়র নেতারা বুধবার এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের বাসভবনে বৈঠক করেন এবং সিনহার প্রচারের বিষয়ে। তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলি জানিয়েছে যে পাওয়ার প্রচারের কৌশলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আধার লিঙ্ক করলে বিনামূল্যে মিলছে 'বাল্ব' ! আতঙ্কে গ্রাম
বৈঠকে যোগদানকারী নেতাদের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেসের বিরোধীদলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খার্গ, সিপিআই-এম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই-এর ভালচন্দ্র কাঙ্গো এবং আরজেডি-র এ ডি সিং। কুলকার্নিও উপস্থিত ছিলেন। আগামী ১৮ জুলাইয়ের নির্বাচনের প্রচার কমিটির আরও কয়েকজন সদস্যও তাঁদের সাথে অনলাইনে যোগ দিয়েছেন। সেখানেই নির্ধারিত হয় যে যশবন্ত সিনহা এবার ৯ জুলাই বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাতে যাবেন। জানা গিয়েছে যশবন্ত সিনহা পরবর্তীকালে ঝাড়খণ্ড, বিহারের সফরও করবেন। উল্লেখ্য, বিহারের ভূমিপুত্র যশবন্ত, রাষ্ট্রপতি নির্বাতন ইস্যুতে ঝাড়খণ্ডের শাসকদল জেএমএমের মন পেতে সচেষ্ট হবেন মনে করা হচ্ছে। কারণ শিবু সোরেনের দল বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুর প্রার্থীপদের পর সেভাবে এই ইস্যুতে মুখ খোলেনি। যশবন্ত সিনহার প্রচার শেষ হবে মহারাষ্ট্রে। সেখানে মহাবিকাশ আঘাড়ি জোটকে সদ্য ক্ষমতাচ্যূত করেছে বিজেপি। ফলে এই জায়গা থেকে যশবন্তের প্রচার বেশ খানিকটা চিত্তাকর্ষক হতে পারে, বলে মনে করা হচ্ছে।