যে ২৯ টি ফোন জমা দেওয়া হয়েছিল, সেগুলির মধ্যে পাঁচটি ফোনে ম্যালওয়ার পাওয়া গিয়েছে। তবে সেই ম্যালওয়ার আদৌও পেগাসাস কিনা, সে বিষয়ে অকাট্য কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছে কমিটি।
বৃহস্পতিবার সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে উদ্দেশ্য করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্না বলেছেন, 'কমিটি একটা বিষয় জানিয়েছে যে ভারত সরকার সহযোগিতা করেনি। আপনারা এখানে যে অবস্থান নিয়েছেন, একই অবস্থান সেখানেই নিয়েছেন।'
পেগাসাস স্পাইওয়ার নিয়ে তরজা
সংসদের বাজেট অধিবেশনের আগে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ২০১৭ সালে ভারত এবং ইজরায়েলের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্রশস্ত্র এবং গোয়েন্দা সংক্রান্ত দু'বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি হয়েছিল। যে চুক্তির ‘কেন্দ্রবিন্দু’ ছিল পেগাসাস স্পাইওয়ার এবং ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সেই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। শতাব্দীপ্রাচীন দলের মুখপাত্র শামা মোহাম্মদ বলেনছিলেন, 'বিজেপি সরকার যে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী-সহ ভারতের নাগরিকদের উপর নজরদারি চালানোর জন্য সামরিক পর্যায়ের স্পাইওয়ার ব্যবহার করেছিল, এটাই তার অকাট্য প্রমাণ। এর জবাবদিহি করতে হবে।' তোপ দেগেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।