বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগ পোর্টফোলিও তৈরি করা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে সেই বিনিয়োগে ক্রমাগত নজর রাখা এবং বারবার তার মূল্যায়ন করাও অত্যন্ত প্রয়োজন। পোর্টফোলিও তৈরি করার সময়, তার বিভিন্ন দিক অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে।
ইংরাজিতে একটি প্রবচন আছে। তাতে বলা হয়, সমস্ত ডিম কখনও এক ঝুড়িতে রাখতে নেই। ঠিক সেভাবেই, আপনার সমস্ত টাকাই খালি একটি জায়গায় কখনও জমা করতে নেই। একটি বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগ পোর্টফোলিও তৈরি করা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে সেই বিনিয়োগে ক্রমাগত নজর রাখা এবং বারবার তার মূল্যায়ন করাও অত্যন্ত প্রয়োজন। পোর্টফোলিও তৈরি করার সময়, তার বিভিন্ন দিক অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। বাজার অস্থিরতার ঝুঁকি, লিকুইডিটি, লক-ইন-এর নিয়ম এবং আয় করে প্রভাব, সবদিকেই নজর রেখে এগোতে হবে।
সঠিক ইক্যুইটি বেছে বিনিয়োগ করা মুখের কথা নয়। এর জন্য বছরের পর বছর পড়াশোনা, অভিজ্ঞতা এবং কোনও সংস্থার ভবিষ্যত আন্দাজ করার ক্ষমতা লাগে। দীর্ঘ মেয়াদে দুর্দান্ত রিটার্নও পাবেন। কিন্তু একইভাবে ঝুঁকিও বেশি। বুলিশ শেয়ারে বিনিয়োগ করলে ইক্যুইটিতে যা রিটার্ন পাবেন, তা অন্য সব বিনিয়োগকে ছাপিয়ে যায়। কিন্তু ভুল কোম্পানি, বাজারের মন্দার সময়, সংস্থার হঠাত্ পতন হলে ঠিক সেভাবেই বড়সড় লোকসান হতে পারে। ফলে ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করার সময় বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি থাকা এবং স্বল্পমেয়াদী ওঠানামার ঝুঁকি নেওয়ার মতো মানসিক দৃঢ়কা প্রয়োজন।
নগদ
সবচেয়ে স্থিতিশীল। সহজে তহবিল পেতে গেলে এটাই একমাত্র উপায়। বাজারের মন্দার সময় এটি কাজে লাগতে পারে। তাই এভাবেও কিছু টাকা রাখা উচিত্। বিনিয়োগকারীরা সাধারণত তাঁদের পোর্টফোলিওর একটি ছোট অংশ এই নিরাপত্তা কুশন হিসাবে নগদের জন্য বরাদ্দ করে রাখেন।
সোনা
যুগযুগ ধরে সোনা বিশ্বজুড়ে অন্যতম জনপ্রিয় বিনিয়োগের পন্থা। এর দামের ওঠানামা ইক্যুইটি এবং স্থায়ী আমানতের তুলনায় অনেকটাই আলাদা হয়। বাজারের অনিশ্চয়তা এবং মুদ্রাস্ফীতি সময়ে, সোনাই আপনার ভাল রিটার্নের হাতিয়ার হয়ে যেতে পারে। তবে সোনায় বিনিয়োগেও কিছু ঝুঁকি রয়েছে।
স্থায়ী বিনিয়োগ
স্থায়ী আয়ের বিনিয়োগ, যেমন ফিক্সড ডিপোজিট, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, পোস্ট অফিস পিপিএফ- এগুলি ইক্যুইটির তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে পরিচিত। অর্থনৈতিক মন্দার সময় এটিই সবচেয়ে নিরাপদ অপশন হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে, এটি সুদের হার পরিবর্তনের উপর নির্ভরশীল।
নিচের গ্রাফ/টেবিল থেকে বিভিন্ন মেয়াদে চারটি বিনিয়োগ মাধ্যমে রিটার্নের হার জানতে পারবেন: