এবার ইউনাইটেড নেশনসের যোগা সেশনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ২১ জুন তিনি এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। নবম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষ্য়ে তিনি এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্র সংঘ আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের কথা ঘোষণা করেছিল। যোগ করলে কী ধরণের উপকার হতে পারে সেব্যাপারেও জানানো হয়েছিল রাষ্ট্র সংঘের তরফে।
গোটা বিশ্বজুড়ে যোগাভ্য়াসের এই সুফলের নানা দিক সম্পর্কে তুলে ধরার জন্য় ২১ জুন দিনটিকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। ৯ বছর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রস্তাব দিয়েছিলেন, প্রতিবছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবসটি পালন করা দরকার।
এদিকে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের এক স্থায়ী প্রতিনিধি এই যোগ সেশনে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই এই সেশন হবে।
কোথায় হবে এই অনুষ্ঠান?
সূত্রের খবর, রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরের উত্তর লনে এই অনুষ্ঠান হবে। এখানে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি রয়েছে। এটি ভারতের তরফেই রাষ্ট্রসংঘকে উপহার দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই হবে যোগা সেশন। ২১ জুন সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্য়ে এই সেশন হবে।
মনে করা হচ্ছে গোটা বিশ্বের প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বরা সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। রাষ্ট্রসংঘের পদস্থ আধিকারিকরা, রাষ্ট্রদূতরা, সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা, প্রবাসীরা সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন। অনুরোধ করা হয়েছে যোগ ব্যায়ামের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে এমন পোশাক পরে যাতে অংশগ্রহণকারীরা আসেন। তবে যোগাভ্যাস করার উপযোগী ম্যাট দেওয়া হবে।
এদিকে সেই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি করে স্মরণিকা সকলকে দেওয়া হবে। ইউনাইটেড নেশনসের জেনারেল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট সাবা কোরোসি টুইট করে এব্যাপারে উৎসাহ প্রকাশ করেছেন।
এবার একটু পেছন ফিরে তাকানো যাক। গোটা বিশ্বজুড়েই এই যোগকে ঘিরে নানা উৎসাহ ক্রমশ বাড়ছে। যোগেই রোগমুক্তি এই আপ্তবাক্যকে নিয়ে অনেকেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তারা চান যোগের মাধ্যমে নীরোগ শরীর পেতে। আর এক্ষেত্রে ভারত এগিয়ে রয়েছে অনেকটাই। প্রাচীন কাল থেকেই ভারতে যোগাভ্য়াসের প্রচলন রয়েছে। তবে বর্তমানে ফের অনেকেই সেই যোগ অভ্যাসের দিকে নজর দিয়েছেন। এতে একদিকে যেমন শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকা যায়। তেমনি মানসিক দিক থেকেও সুস্থ থাকা যায়। তবে এবার একেবারে রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরের উঠোনে হবে যোগের আসর। উপস্থিত থাকতে পারেন খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী।