যৌন অভিসন্ধি নিয়ে কোনও কাজ করা না হলে তা পকসো আইনের আওতায় পড়বে না। গত সপ্তাহে একটি মামলায় একথাই জানাল বম্বে হাইকোর্ট। সেই মামলায় পুণের এক বাসিন্দাকে আগাম জামিন মঞ্জুর করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে নাবালিকাকে শারীরিক হেনস্থার সময় কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া এবং খারাপভাবে স্পর্শ করার অভিযোগ উঠেছিল।
গত ২০ অক্টোবর পুণের সাপ্তশ্রিঙ্গি থানায় রুজু হওয়া এফআইআরের ভিত্তিতে আগাম জামিন দিয়েছেন বিচারপতি ভারতী দাঙ্গরে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, এফআইআরে এমন কোনও বিষয় ছিল না, যা থেকে প্রমাণিত হয় যে ওমকার গায়কোয়াড় নামে ওই ব্যক্তি যৌন অভিসন্ধি নিয়ে সেই কাজ করেছিলেন।
২০ বছরের এক তরুণীর অভিযোগ অনুযায়ী, একটি দোকান সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে ওমকারের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সমস্যা চলছিল। তা নিয়ে একে অপরকে আইনি নোটিশও পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, গত ১৯ অক্টোবর তরুণীদের বাড়িতে ঢুকে আসেন ওমকার, তাঁর স্ত্রী-সহ চারজন। তরুণীর বাবা-মা'কে হেনস্থা করতে থাকেন বলে অভিযোগ। তরুণী অভিযোগ করেন, তাঁকে এবং তাঁর ১৭ বছরের বোনকেও হেনস্থা করা হয়। বোনের কাপড় ছিঁড়ে দেন ওমকার। দু'জনকেই খারাপভাবে স্পর্শ করেন।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওমকারের বিরুদ্ধে পকসো আইনের সাত নম্বর ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। সেই ধারা অনুয়াযী, যৌন অভিসন্ধি নিয়ে কোনও ব্যক্তি বা মহিলা যদি কোনও শিশুর গোপনাঙ্গে স্পর্শ করে বা তার নিজের গোপনাঙ্গে হাত দিতে শিশুকে বাধ্য করে বা যৌন অভিসন্ধি নিয়ে অন্য কোনও কাজ করে, যেখানে শারীরিক সংযোগ হয়, তাহলে তা যৌন হেনস্থা বলে বিবেচিত হবে।
পকসো আইনের সেই ধারার ভিত্তিতে বিচারপতি দাঙ্গরে জানান, অভিযোগকারীর বোনকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে ওমকারের বিরুদ্ধে। সেই সময় তিনি নাবালিকার বুক ও গোপনাঙ্গ স্পর্শ করেছেন এবং তাঁকে মেঝেতে ফেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিচারপতি বলেন, ‘নির্দিষ্টভাবে যৌন অভিসন্ধির বিষয়টি প্রমাণিত না হলে প্রাথমিকভাবে পকসো আইনের সাত নম্বর ধারায় আওতায় অপরাধ এবং আট নম্বর ধারার আওতায় শাস্তি হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এফআইআরে যেহেতু কোনও যৌন অভিসন্ধির বিষয়ে বলা নেই, তাই এটা বিচারসাপেক্ষ বিষয়।’
ওমকারের আগাম জামিনও মঞ্জুর করা হয়। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষক, প্রাথমিকভাবে যৌন অভিসন্ধি না থাকায় এবং চুক্তির ভিত্তিতে গ্রেফতারির আশঙ্কা থেকে সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে আবেদনকারীকে। যে চুক্তি দু'পক্ষের মধ্যে সম্ভবত বিবাদের কারণ।