বিকাশ কান্ত
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের প্রার্থী যশবন্ত সিনহার নামে কার্যত সমস্ত কয়টি অবিজেপি দল সমর্থন দিয়েছিল। বিজেপি বিরোধী ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাও সেই তালিকায় ছিল। তবে এনডিএর তরফে এই নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম উঠে আসতেই হিসাব ফের নতুন করে কষা হচ্ছে বলে খবর। জানা গিয়েছে শিবু সোরেনের পার্টি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) এই নির্বাচনের পদপ্রার্থী ঘিরে তাদের ভাবনা পুনর্বিবেচনা করতে চলেছে।
জেএমএম পার্টির সূত্রের খবর, দ্রৌপদীকেই সমর্থন করতে চলেছে ঝাড়খণ্ডের শাসকদল। উল্লেখ্য, এর আগে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। জানা গিয়েছে, সোরেন পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। শুধু তাই নয়। দ্রৌপদী মুর্মুর ক্ষেক্রে আদিবাসী ইস্যও এই নির্বাচনে একটি বড় ফ্যাক্টর। সেই দিক দিয়ে সোরেন পরিবার তথা জেএমএম-এর সঙ্গে আদর্শগতভাবেও বেশ মিল রয়েছে দ্রৌপদী মুর্মুর। এই প্রসঙ্গে শিবু-পুত্র তথা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, 'নামগুলি সবেমাত্র ঘোষণা হয়েছে। বৈঠকের পর পার্টি সিদ্ধান্ত নেবে।' 'দেশে আর্থিক বৃদ্ধি চলতি বছরে ৭.৫ শতাংশ আশা করা হচ্ছে', ব্রিকসে বার্তা মোদীর
জেএমএমএর তরফে সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, দুই প্রার্থীরই ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। তবে এখনও মনোনয়নের জন্য অনেকদিন বাকি রয়েছে বলে তিনি জানান। ফলে আপাতত জেএমএম 'ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ' এর নীতিতে চলছে। পার্টির আরও এক নেতা বলেন, 'যশবন্ত সিনহাও ঝাড়খণ্ডের নেতা, তবে দ্রৌপদী মুর্মুকে এড়িয়ে যাওয়া কঠিন।' জানা গিয়েছে, জেএমএম-এর শিবু সোরেনের দুই পুত্রবধূর বাড়ি ময়ূরভঞ্জ জেলায়, যে জেলার সঙ্গে দ্রৌপদী মুর্মুর সংযোগ রয়েছে। ফলে সোরেন পরিবারের সঙ্গে মুর্মু পরিবারের পরিচিতিও এই নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে।