মন্দিরের দরজা বন্ধ ছিল। তা খোলার জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন এক মহিলা। বিবাদ শুরু হয় পুরোহিতের সঙ্গে। আচমকাই ওই মহিলার চুল ধরে মারতে থাকেন ওই পুরোহিত। বিহারের দারভাঙা জেলার যে ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে ওই পুরোহিতকে মন্দির থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দারভাঙা জেলার একটি মন্দিরের সেই ঘটনার ভিডিয়ো কেউ তুলে নিয়েছেন। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যে ভিডিয়োয় মহিলার চুল ধরে বেধড়ক মারতে দেখা গিয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেই ঘটনাটি দিনদুয়েক আগেকার। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জেরে আমজনতার জন্য মন্দির বন্ধ থাকছে। শুধুমাত্র মন্দিরের পুরোহিতরা পুজো করতে পারছেন। তারইমধ্যে পুজো দেওয়ার জন্য মহিলা মন্দিরের দরজা খোলার দাবি করতে থাকেন। নিজের জেদে অনড় থাকেন মহিলা। তা নিয়ে পুরোহিতের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া শুরু হয়। আচমকাই চুলের মুঠি ধরে মারতে থাকেন পুরোহিত।
কয়েকটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিডিয়োয় মহিলাকে বলতে শোনা যায় যে দেবীর আশীর্বাদ পেয়েছেন তিনি। পালটা পুরোহিত জানতে চান, তাঁর হাতে কী আছে। মহিলা জানান, ফুল আছে। যদিও হাত ফাঁকা ছিল পুরোহিতের। তাতেই নাকি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পুরোহিত। দেবীকে বদনাম করার দায়ে মহিলাকে চুলের মুঠি ধরে মারতে থাকেন।
সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর মন্দিরের কর্তা চৌধুরী হেমচন্দ্র রায় জানান, মহিলার সঙ্গে এরকম আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে পুরোহিতের থেকে। আপাতত তাঁকে মন্দিরের পুজোর কাজকর্ম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি মহিলা। তাঁর পরিচয়ও জানা যায়নি।