গতকাল রাতেই মারা গিয়েছেন কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ শ্রীনগরে নিজের বাসভবনেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরে আজ ভোর সাড়ে ৪টের সময় কড়া নিরাপত্তার মাঝে তাঁর বাড়ির কাছেই হায়দরপোড়ার এক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। এদিকে গিলানির মৃত্যুর পর যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ইন্টারনেট সার্ভিস এবং প্রিপেড কনেকশনের পরিষেবা বন্ধ রাখা হয় উপত্যকায়। এই সময় শুধুমাত্র বিএসএনএল-এর পোস্টপেড ফোন চালু রয়েছে।
এদিকে শ্রীনগরের পুরোনো শহর এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গতরাতেই কাশ্মীর পুলিশের ইনসপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার কাশ্মীরজুড়ে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে গিলানির শেষকৃত্যে শুধুমাত্র তাঁ ঘনিষ্ঠ পরিবারের সদস্যদের অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কোনও স্থানীয় মানুষকে সেখানে উপস্থিত থাকতে দেওয়া হয়নি। গিলানির বাসভবনের আশেপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি যাওয়ার রাস্তাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে গিলানি কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। গঠন করেছিলেন অল পার্টি হুরিয়ত কনফারেন্স দল। ৯১ বছর বয়সী অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন গিলানি। কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ২০০৮ সাল থেকে গিলানি ২০০৮ সাল থেকে গৃহবন্দি ছিলেন।