তাঁদের প্রধান দাবিগুলি মানা না হলে কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি নন প্রতিবাদী কৃষকরা। সরকারি চিঠির জবাবে সাফ জানিয়ে দি কৃষক সংগঠন।
সদ্য পাশ হওয়া তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী পঞ্জাবের কমপক্ষে ৩১টি কৃষক সংগঠন ও তাদের নেতাদের গত ১০ অক্টোবর আলোচনায় ডেকেছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি সচিব সঞ্জয় আগরওয়াল। ৮ অক্টোবর পাঠানো সেই চিঠিতে সাড়া দেননি কৃষকরা।
কৃষকদের যুক্তি, ওই চিঠিতে সরকার জানিয়েছিল যে, কৃষি আইনগুলি ভুল বুঝেছেন কৃষকরা। পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষিজীবীদের নিয়ে গড়া সারা ভারত কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটির (AIKCC) আহ্বায়ক অভীক সাহা বলেন, ‘কৃষকরা খুব ভালো করেই কৃষি আইন ও সেগুলির উদ্দেশ্য বুঝেছেন। সেই কারণেই বৈঠক বাতিল করা হয়েছে।’
তিনি জানিয়েছেন, এর পরেই ১০ অক্টোবর নতুন করে চিঠি পাঠিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান কৃষি সচিব।
AIKCC জানিয়েছে, প্রধান দাবিগুলি না মানা পর্যন্ত তারা বৈঠকে যোগ দেবে না। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের (রাজেওয়াল গোষ্ঠী) বলবীর সিং রাজেওয়াল জানিয়েছেন, প্রধান দাবিগুলির খসড়া তৈরি করার কাজ চলছে। কিছু দিনের মধ্যেই তা প্রকাশ করা হবে।
অভীক সাহা জানিয়েছেন, সরকারি আইনের ভিত্তিতে কোনও আলোচনা হবে না। তাঁর মতে, কৃষকদের প্রধান শর্তগুলি হল (১) তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার, (২) এমএসপি-র জন্য আইনি সুরক্ষা এবং (৩) কৃষক সংগঠনের সঙ্গে যে কোনও আলোচনা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষ হতে হবে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন পাশ করার প্রতিবাদে কৃষকরা রাস্তা ও রেল অবরোধ করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন কৃষকরা। তাঁদের আশঙ্কা, নতুন আইনের জোরেকৃষকদের উৎপন্ন ফসলের জন্য প্রতিশ্রুতি মতো শশ্যর দাম না দেওয়ার চেষ্টাতেই নতুন তিন কৃষি আইন চালু করা হচ্ছে। পঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশের বড় চাষিরা ভয় পাচ্ছেন যে, আইন পাশের ফলে ফসল ক্রয়কারী ব্যবসায়ী সংস্থাগুলি কৃষকদের ন্যায্যমূল্য দিতে অস্বীকার করবে।
আলোচনায় কৃষকদের কাছে আইনের সঠিক ব্যাখ্যা করা হবে বলে মনে করছে কৃষি মন্ত্রক।