প্রয়াত বাজাজ মোটর্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাহুল বাজাজ। আজ পুনেতে তিনি তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। রাহুল বাজাজ দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রদ্ধা জানাতে থাকেন মানুষজন। ২০০১ সালে পদ্মভূষণ পেয়েছিলেন রাহুল বাজাজ। ১৯৩৮ সালের ১০ জুন কলকাতায় মাড়োয়ারি ব্যবসায়ী কমলনায়ন বাজাজ এবং সাবিত্রী বাজাজের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন রাহুল বাজাজ।
রাহুল বাজাজ ১৯৬৫ সালে বাজাজ গ্রুপের দায়িত্ব নেন। তাঁর নেতৃত্বে বাজাজ অটোর টার্নওভার ৭.২ কোটি থেকে ১২ হাজার কোটিতে পৌঁছেছে এবং এটি স্কুটার বিক্রির ক্ষেত্রে দেশের শীর্ষস্থানীয় সংস্থায় পরিণত হয় বাজাজ। ২০০৫ সালে রাহুল তাঁর ছেলে রাজীবের হাতে কোম্পানির দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন। এরপর বাজাজের পণ্যের চাহিদা শুধু দেশীয় বাজারেই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও বেড়ে যায়।
উল্লেখ্য, তিন প্রজন্ম ধরে বাজাজ ও নেহেরুরা পারিবারিক বন্ধু থেকেছে। রাহুলের বাবা কমলনায়ন এবং ইন্দিরা গান্ধী একই স্কুলে কিছুদিন পড়াশোনা করেছিলেন। বাজাজ পরিবার স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে জড়িত ছিল। জামনালাল বাজাজ ছিলেন তাঁর যুগের একজন সফল শিল্পপতি। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামেও অংশ নিয়েছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় তিনি মহাত্মা গান্ধীর 'ভামাশাহ' ছিলেন। ১৯২৬ সালে তিনি শেঠ বাচরাজ নামে একটি ফার্ম গঠন করেন। ১৯৪২ সালে ৫৩ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর জামাতা রামেশ্বর নেভাতিয়া এবং দুই ছেলে কমলনায়ন এবং রামকৃষ্ণ বাজাজ বাচরাজ ট্রেডিং কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন। পরে সেই সংস্থাই বাজাজ মোটর্স নামে পরিচিতি পায়।