অনীশ ইয়ান্ডে
হরিয়ানায় সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে প্রশ্নের জবাব কার্যত এড়িয়ে গেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মিডিয়া যাত্রা সম্পর্কে কিছু দেখাচ্ছে না। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে ব্যাপক উৎসাহ। কিন্তু ন্যাশানাল মিডিয়া কিছু দেখাচ্ছে না। এরপর এখন প্রসঙ্গ ঘোরানোর জন্য় বলা হচ্ছে কে মুখ্যমন্ত্রী বা কে প্রধানমন্ত্রী হবেন? রাহুল বলেন, এবার আমি বাজি ধরে বলতে পারি কেউ হয়তো বলবেন কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন?
এদিকে ২০২৪ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের তরফে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে কাকে তুলে ধরা হবে তা নিয়ে নানা চর্চা চলছে। শনিবার কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ উল্লেখ করেন, রাহুল গান্ধীকে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরার জন্য ভারত জোড়ো যাত্রা একটা অজুহাত, এমনটা নয়।
এদিকে অগ্নিপথ স্কিমের সমালোচনা করে রাহুল বলেন, এই দেশ যুব সমাজের উপর নির্ভরশীল।আমি বহু যুবকের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বলছেন মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, সেনায় যেতে চাইছেন। কিন্তু অনেকেরই স্বপ্নপূরণ হয় না। তাদের হৃদয় ভেঙে যায়। মাত্র ১০ শতাংশের স্বপ্নপূরণ হয়। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে আমাদের কোনও চিন্তা নেই।
রাহুল বলেন,একজন ছোট মিস্ত্রি ক্রোড়পতি হয়ে গিয়েছেন এমনটা বলুন তো! দেশ যবে থেকে দক্ষতাকে গুরুত্ব দেওয়া শিখবে তবে থেকে এই দেশ প্রকৃত অর্থেই সুপার পাওয়ার হিসাবে গড়ে উঠবে। তার আগে থেকে একেবারে ফোঁপড়া অবস্থাতেই থাকবে এই দেশ। কৃষকদের দক্ষতা নিয়েও রসিকতা করা হয়।
এদিকে এর আগেও অগ্নিপথ স্কিম নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রাহুল। তিনি বলেছিলেন, আগে যুবকরা ১৫ বছর সেনাতে কাজ করার পরে পেনশন পেতেন। আর এখন মোদী সরকার ভাবল পেনশনটাকে পাশে সরিয়ে রাখতে হবে। এখন যুবকরা ৬ মাসের প্রশিক্ষণ পাবেন, বন্দুক ধরা শিখবেন, চারবছর সেনাতে থাকবেন এরপর সেখান থেকে বের করে দেওয়া হবে। তারপর তারা বেকার হয়ে যাবেন। এটাই নিউ ইন্ডিয়া।
পাশাপাশি রাহুল জানিয়েছেন, মেডিটেশন নিয়ে আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু বিজেপি, আরএসএস জোর করে পুজো করানোর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, মানুষ বলছেন রাহুল গান্ধী কত কিমি পথ হেঁটেছেন। কিন্তু একথা বলছেন না কৃষকরা কত কিমি পথ হেঁটেছেন। আমার হাঁটার সঙ্গে কৃষক বা শ্রমিকদের হাঁটার তুলনা করবেন না। তাঁরা আরও বেশি হাঁটেন।