বেশ কয়েকদিন আগে এক টিভি শো চলাকালীন মহানবি হজরত মহম্মদকে নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা। সেই ঘটনার পর বিজেপি তাঁকে সাসপেন্ড করেছে। ঘটনায় দল থেকে বরখাস্ত হয়েছেন আরেক নেতা নবীন জিন্দলও। পশ্চিম এশিয়ার প্রায় ১৫টি দেশ এই ঘটনায় ভারতের জবাবদিহি চায়। তবে এত কিছু হয়ে যাওয়ার পর এই ঘটনায় আচমকাই উত্তাল দেশের বিভিন্ন জায়গা। বিগত কয়েকদিন ধরে মহানবি কাণ্ডে দেশের একাধিক জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর এসেছে। এমনই এক হিংসার ঘটনায় গতকাল ঝাড়খণ্ডে দুই জন নিহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
হজরত মহম্মদকে ‘অসম্মান’ করার প্রতিবাদে গতকাল রাঁচিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়েছিল। সেই বিক্ষোভ প্রদর্শনই হিংসাত্মক রূপ ধারণ করে। ঘটনায় দুই জন নিহত হন। পাশাপাশি ১০ জন জখমও হন। সংঘর্ষের পর, পুলিশ কার্ফু জারি করে। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেন। এদিকে রাঁচি পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) অনীশ গুপ্ত বলেছেন যে ‘সামান্য উত্তেজনা’ ছড়িয়ে পড়া সত্ত্বেও বর্তমানে পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রনে’ আছে।
এদিকে বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার গ্রেফতারির দাবিতে শুক্রবারও রাজ্যে জারি ছিল অবরোধ। শুক্রবারের নমাজের পর কলকাতা, হাওড়াসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয় অবরোধ। যার জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তি পোহাতে হয় নিত্যযাত্রীদের। অবরোধ রুখতে একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ।
গতকাল দুপুরে কলকাতার পার্ক সার্কাস মোড় পথ অবরোধ করেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবরোধ। যার জেরে মধ্য কলকাতার যান নিয়ন্ত্রণে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। হাওড়ার ধূলাগড়েও হয় একই রকম পথ অবরোধ। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে বিক্ষোভকারীরা। বর্ধমান শহরেও প্রতিবাদ মিছিল করেন মুসলিমরা। অঙ্কুরহাটিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে রাখেন মুসলিমরা। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধেও অবরোধ তোলেননি তাঁরা। বেলা ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে অবরোধ।