চলছিল অন্য একটি মামলার তদন্ত। আর সেই তদন্ত করতে গিয়ে প্রায় কেঁচো খুড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ল পুলিশের সামনে। ঘটনা মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার। সেখানে কদম হাসপাতালে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট নিয়ে একটি তল্লাশিতে নামে পুলিশ। হাসপাতালে ততক্ষণে অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগের ভিত্তিতে চলছিল পুলিশি তল্লাশি। তবে, এরপর যা ঘটেছে তাতে হতবাক অনেকেই।
পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট সূত্রে খবর ছিল, ওয়ার্ধার ওই প্রাইভেট হাসাপাতালে বায়োগ্যাস প্ল্যান্টের মধ্যে ৫৪ টি ভ্রুণের হাড়গোর, ও ১১ টি মাথার খুলি উদ্ধার হয়েছে। ঘটনা ঘিরে তুমুল হইচই পড়ে যায় এলাকায়। মুহূর্তে হাসপাতালের ডিরেক্টর ডক্টর রেখা কদম ও তাঁর সঙ্গী এক নার্সকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। উল্লেখ্য, অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগ ঘিরে পুলিশি তদন্ত চলাকালীন এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার আরভি তেহসিলের এই ঘটনা ঘিরে রীতিমতো হতবাক এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, উদ্ধার হওয়া দেহাংশ ও মাথার খুলি আপাতত পরীক্ষার জন্য ল্যাবোরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে, এই কঙ্কালগুলি বৈধভাবে সেখানে রাখা হয়েছে, নাকি, নিয়ম বহির্ভূতভাবে হাসপাতালের মধ্যে এমন কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে! এর আগে পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে, এক ১৩ বছরের মেয়ের অবৈধ গর্ভপাত করানো হয় এই হাসপাতালে তার ভিত্তিতে তদন্ত করতে নেমেই এই সমস্ত তথ্য পেয়েছে পুলিশ।