মহারাষ্ট্রের আইসআইএস মডিউলের মামলায় সম্প্রতি গ্রেফতর করা হয়েছিল পুণের প্রখ্যাত চিকিৎসক ডঃ আদনান আলি সরকারকে। সেই ডঃ সরকারকে ১০ দিনের জন্য তদন্তকারীদের হেফাজতে পাঠাল এনআইএ-র বিশেষ আদালত। এনআইএ-র বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, ডঃ সরকারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি এবং ইলেকট্রনিক যন্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, শিক্ষিত যুবকদের আইএস-এ নাম লেখানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন এই ডঃ সরকার।
জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে আইএস মডিউল ভাঙগে গত জুন মাস থেকেই জোরদার তল্লাশি চালাতে শুরু করে এনআইএ। এর আগে ৪ জন জঙ্গিকে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়। থানে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তবিশ নাসির সিদ্দিকিকে, পুণে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল জুবায়ের নূর মহম্মদ শেখ, শারজিল শেখ, জুলফিকর আলি বোরদাওয়ালা। এর মধ্যে জুলফিকর আলি বোরদেওয়ালা ডঃ সরকারের বোনের স্বামী। অভিযোগ, এই জুলফিকর বেশ কিছু জঙ্গি কার্যকলাপ সম্পর্কিত ভিডিয়ো পাঠিয়েছিল ডঃ সরকারকে। সেই প্রেক্ষিতেই এই নামকরা চিকিৎসককে তলব করা হয়েছিল গত ২১ জুলাই। তবে ডঃ সরকার তলবে সাড়া দেননি। পরে ২৭ জুলাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এবং তল্লাশি চালিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে বেশ কিছু প্রমাণ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ডঃ সরকারের আইনজীবী আদালতে দাবি করেছেন, তিনি এই মামলায় অভিযুক্ত একজনের (জুলফিকর) থেকে অনেক ভিডিয়ো পেতেন বটে। তবে সেই ভিডিয়ো নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতেন না বা প্রতিক্রিয়া দিতেন না। সেই ভিডিয়ো তিনি ছড়িয়েও দিতেন না। এদিকে এনআইএ জানিয়েছে, মহারাষ্ট্র এটিএস সম্প্রতি দু'জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল। সেই দুই জঙ্গি নাকি বড়সড় নাশকতার ছক কষছিল। সেই জঙ্গিদের সঙ্গে নাকি ডঃ সরকারের আত্মীয় জুলফিকরের সরাসরি যোগ রয়েছে। এদিকে আদনান আলি সরকারের বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএস), ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত (আইএসআইএল), ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস), দায়েশের সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে সমর্থন করার জন্য একটি চক্রান্ত করার অভিযোগ উঠেছে। ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান (আইএসকেপি), ইসলামিক স্টেট উইলিয়াত খোরাসান এবং ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড শাম খোরাসানের (আইএসআইএস-কে) সঙ্গেও নাকি যোগ রয়েছে এই চিকিৎসকের।