করোনা আবহে দেশের অর্থনীতিতে যখন ধস নেমেছিল, সেই সময় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প সহ বিভিন্ন খাতের শিল্পের জন্য ৩ লক্ষ কোটি টাকার সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত ঋণ প্রকল্প ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। সেই ঋণ প্রকল্পের পরিধি এবার আরও বাড়ানো হল। প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে বিমান পরিষবা শিল্পকে। তাছাড়া এবার থেকে যদি কোনও হাসপাতাল, নার্সিংহোম, ক্লিনিক, মেডিক্যাল কলেজ নিজেদের জমিতে অক্সিজেন উৎপাদন প্ল্যান্ট বসাতে চায়, তাহলে তারাও এই ঋণ প্রকল্পের সুবিধা পাবে।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বিমান সংস্থা, বিমানবন্দর ও এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিকে ইমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় আনা হচ্ছে। এর জেরে ধুঁকতে থাকা বিমান পরিষেবা ক্ষেত্রের মূলধনের সমস্যা মিটতে পারে। এই প্রকল্পের অধীনে সুদের ঊর্ধ্বসীমা ৭.৫ শতাংশ।
এদিকে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অনুযায়ী ২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশের ব্যাঙ্কগুলি। ছোট সংস্থাগুলিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই এই পদক্ষেপ। পাশাপাশি, চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও পরিকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে কম সুদে সংস্থাগুলিকে ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। তাছাড়া করোনা চিকিৎসার জন্য ২৫ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত ঋণ প্রকল্পের কথা জানিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। জানা গিয়েছে, ইমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় এখনও পর্যন্ত ২.৫৪ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করেছে ব্যাঙ্কগুলি। যার মধ্যে ইতিমধ্যেই ২.৪০ লক্ষ কোটি টাকা বণ্টন করা হয়ে গিয়েছে।