ইউক্রেনের মাটিতে কার্যত যুদ্ধের ডঙ্কা বেজে গিয়েছে। রাশিয়ান হানাকে ঘিরে উদ্বেগ একেবারে মাত্রাছাড়া। এদিকে ভারত থেকেও প্রচুর পড়ুয়া ইউক্রেনে পড়াশোনা করতে গিয়েছেন। তাদের অনেকেই ফিরে এসেছেন দেশে। আবার ফিরে আসতে পারেননি অনেকে। ভারত সরকারের তরফে বিমানও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই বিমান নামতে পারেনি। এদিকে শিলিগুড়ি চেকপোস্ট এলাকার বাসিন্দা বিতান বসুও পড়তে গিয়েছিলেন ইউক্রেনে। ভাগ্যক্রমে ইউক্রেন থেকে ফিরে এসেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর একাধিক বন্ধু এখনও আটকে আছেন ইউক্রেনে। তাঁদের জন্য় মন খারাপ বিতানের।
বিতান বলেন, 'কাল অবধি ভয়টা খুব ছিল। আজ একটু স্বস্তি লাগছে। তবে কয়েকজন বন্ধু এখনও আটকে আছেন। এটা নিয়ে খারাপ লাগছে। আসার উপায় নেই। প্রচুর টাকার টিকিট কেটে আমরা এলাম। দূতাবাস সেভাবে সহায়তা করেনি। আমার চেনার মধ্যে ১০-১৫জন আটকে পড়েছেন। আমার ফ্লাইটটাও ক্যানসেল হয়ে যায়। অন্য ফ্লাইটে এসেছি। একটা ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে ছিলাম। তার ঠিক সামনেই আর্মি বেস। ওখানেই শুনলাম বোম্বিং হচ্ছে। আর একরাত থাকলে আসতে পারতাম না। ১৯ ফেব্রুয়ারি রওনা দিয়েছিলাম। কিভে তিন রাত ছিলাম। এবারের পরিস্থিতি খুব বিভ্রান্তিকর। একদিকে বলা হচ্ছে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আর একদিকে চোখের সামনে দেখছিলাম কী হচ্ছে!'
পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমরা খুব উদ্বেগের মধ্য়ে ছিলাম। সবার কাছে আবেদন বাচ্চাদের ফিরিয়ে আনুন। আমরা ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছি। বিতানের বাবা বলেন, আমার ছেলে ফিরেছে। কিন্তু বন্ধুর ছেলে এখনও আটকে রয়েছে।