চাইল্ড কেয়ার ইনস্টিটিউট (সিসিআই) বা হোমে ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর সময় তাদের পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে। এমন প্রত্যেক শিশুর পড়াশোনার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে মাসিক ২,০০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালতে জানানো হয়েছে, করোনা মহামারী শুরুর সময় হোমে ২২৭,৫১৮ জন শিশু ছিল। তাদের মধ্যে ১৪৫,৭৮৮ জনকে পরিবার বা অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারীর সময় হোমে বসবাসকারী শিশুদের অবস্থার বিষয়টি পর্যালোচনা করে শিক্ষার জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর প্রদানের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করে শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওই শিশুদের পড়াশোনার জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষকের বিষয়টিও নিশ্চিত করতে রাজ্যগুলিকে বাড়তি গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।
একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলার রায়ে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, জেলা শিশু সুরক্ষা বিভাগের সুপারিশের ভিত্তিতে হোমে বসবাসকারী শিশুদের অনলাইনে ক্লাসের জন্য ৩০ দিনের মাধ্যে রাজ্য সরকারগুলিকে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর বন্দোবস্ত করতে হবে। দিতে হবে বই, খাতাপত্র। মহামারীর মধ্যে হোমের শিশুরা যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, সেজন্য ২০-২৫ জন শিশুকে নিয়ে একটি ব্যাচ তৈরি করা যেতে পারে। সেরকম ব্যাচপিছু একজন শিক্ষক বেছে নিতে পারে রাজ্যগুলি।
একইসঙ্গে শিক্ষার জন্য প্রত্যেক শিশুকে মাসিক ২,০০০ টাকা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, শিশুদের পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জেলা শিশু সুরক্ষা বিভাগের সুপারিশের ভিত্তিতে সেই অর্থ প্রদান করতে হবে। একইসঙ্গে আগামী বছর মার্চে বোর্ড পরীক্ষার আগে যাতে ওই শিশুরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে, সেজন্য বাড়তি ক্লাস করানোরও প্রয়োজন আছে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
পুরো প্রক্রিয়ায় জেলা শিশু সুরক্ষা বিভাগের বাড়তি দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। সকলের সঙ্গে সমন্বয়ের পাশাপাশি জেলা শিশু সুরক্ষা বিভাগকে পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখতে হবে। হোমের শিশুদের পরিকাঠামো কতটা উন্নত হয়েছে, সে বিষয়ে জেলার আইনি কর্তৃপক্ষকে জানানোর ভারও জেলা শিশু সুরক্ষা বিভাগের উপর দিয়েছে শীর্ষ আদালত।