বিচারব্যবস্থার বাইরে যে ডিভোর্স হয়ে থাকে তা কতটা সাংবিধানিকভাবে বৈধ সেটা খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট। এই এক্সট্রা জুডিশিয়াল ডিভোর্সের মধ্যে পড়ছে তালাক ই হাসান। এটা মুসলিমদের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে। এই তালাক ই -হাসান হল তিন মাস ধরে প্রতি মাসে একবার করে তালাক শব্দটি বলতে হয়। তিন মাস ধরে এই তালাক শব্দটি উচ্চারণ করলে দম্পতির মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যেতে পারে।
তিন মাস ধরে এই তালাক শব্দটি উচ্চারণ করলে সেই বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যত মেনে নেওয়া হয়। তবে তিন মাসের মধ্য়ে তা ফিরিয়েও নেওয়া যায়।
এদিকে গাজিয়াবাদের এক মহিলা বেনজির হেনা এই এক্সট্রা জুডিশিয়াল ডিভোর্সকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। সেরকম অন্তত আটটি আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতিদের বেঞ্চ এই শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন।
সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ্য়াম ডিভান হেনার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি জানান তাঁর স্বামীকে হাজির থাকার জন্য বলা হয়েছিল।এখন একটা হলফনামা দেওয়া হয়েছে সেখানে বিবাহ সংক্রান্ত নানা দিক উল্লেখ করা রয়েছে।
স্বামীর পক্ষে থাকা অ্য়াডভোকেট এমআর সংসদ জানিয়েছেন, আয় সংক্রান্ত তথ্য় জমা দেওয়ার জন্য মহিলাকে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেটা দেওয়া হয়নি।
এদিকে আদালত জানিয়েছে, তাঁকে কি তালাক দেওয়া হয়েছে নাকি সেটা দেওয়া হয়নি? যদি তাঁকে তালাক দেওয়া হয়ে থাকে তবে তবে তিনি চ্যালেঞ্জ জানাতেই পারেন। কিন্তু কোন ভিত্তিতে এই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে সেটা দেখা হচ্ছে।
আদালত জানিয়েছে , বিবাহ সংক্রান্ত কী সমস্যা রয়েছে সেটা আমরা দেখব না। আমরা এক্সট্রা জুডিশিয়াল ডিভোর্স যেমন তালাক ই হাসান নিয়ে শুধু দেখব। সেকারণেই শীর্ষ আদালত হেনার স্বামীকে নির্দেশ দেন আপনাদের বিবাহ সংক্রান্ত কী সমস্যা রয়েছে সেই সংক্রান্ত যে হলফনামা দিয়েছেন সেটা তুলে নিন।
দেশের শীর্ষ আদালত গোটা ব্যবস্থাটি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার, জাতীয় মহিলা কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার রক্ষা কমিশন সহ বিভিন্ন পক্ষকে তাদের জবাব দিতে বলেছে।