দিল্লির প্রায় ২৩ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বাকি ৭৭ শতাংশ দিল্লিবাসীও করোনার কবলে পড়তে পারেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল’-এর অধিকর্তা সুজিত কুমার সিং জানান, দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লি কনটেনমেন্ট জোনে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর) সেরোলজিকাল সার্ভে (সংক্ষেপে সেরো সার্ভে) চালিয়েছিল। সেখানের ফলের ভিত্তিতে দিল্লিজুড়েই সেরো সার্ভে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
কেন্দ্র জানিয়েছে, সেই পরীক্ষার ফল অনুযায়ী ২২.৮৬ শতাংশ দিল্লিবাসী করোনা আক্রান্ত। জেলাভিত্তিক করোনা আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে শাহদারা (২৭.৬১ শতাংশ)। আরও সাত জেলায় ২০ শতাংশের বেশি মানুষের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বাকি তিন জেলা অর্থাৎ পশ্চিম (১৯.১৩ শতাংশ), দক্ষিণ-পশ্চিম (১২.৯৫ শতাংশ) ও দক্ষিণ (১৮.৬১ শতাংশ) দিল্লিতে পজিটিভ হওয়ার হার ২০ শতাংশের নীচে রয়েছে।
তবে বাকি ৭৭ শতাংশ দিল্লির বাসিন্দাও করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে সতর্ক করেছেন 'ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল’-এর অধিকর্তা। সেজন্য সামাজিক দূরত্ব, সুরক্ষা বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, সেরো সার্ভের রিপোর্ট চূড়ান্ত নয়। সেই পরীক্ষায় কারোর রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁর আরটি-পিসিআর টেস্টেও করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যাবে। কিন্তু সেরো সার্ভের রিপোর্ট নেগেটিভ আসা সত্ত্বেও কেউ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে কারোর করোনা উপসর্গ থাকলে আরটি-পিসিআর টেস্ট করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হচ্ছে বলে জানান 'ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল’-এর অধিকর্তা।