উৎপাদিত ভ্যাকসিনের মধ্যে খুবই অল্প পরিমাণই বেসরকারি হাসপাতালে বিক্রি করা হবে।শনিবার এই সাফাই দিল সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।একইসঙ্গে সেরামের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনা সংক্রান্ত অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামের মধ্যে সেরামের ভ্যাকসিনের দাম অনেকটাই কম।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এখন দেশে করোনা সংকট ভয়াবহ আকার নিয়েছে।দেশের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়ানোর ওপরই জোর দেওয়া হচ্ছে।একইসঙ্গে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম দফায় ভারত সহ সারা বিশ্বে যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছিল, তার দাম তুলনামূলকভাবে কম ছিল।এখনও ভারত সহ সারা বিশ্বে খুব কম দামেই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।এদিন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সেরামের তরফে বেসরকারি হাসপাতালে যে ডোজ প্রতি ৬০০ টাকায় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেটা সীমীত সংখ্যক।অর্থাৎ সেরামে উৎপাদিত বেশিরভাগ ভ্যাকসিন হয় কেন্দ্র নয়ত রাজ্য সরকারের কাছেই আসবে।সেক্ষেত্রে সরকারি তরফে যদি সাধারণ মানুষকে ফ্রিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, তাহলে তা মানুষেরই সুবিধা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সেরামের তরফে ভ্যাকসিনের ডোজ প্রতি দাম নিয়ে বিবৃতি জারি করা হয়।সেখানে কেন্দ্রের থেকেও রাজ্যকে বেশি দামে ভ্যাকসিন বিক্রির কথা বলা হয়েছে।রাজ্যকে কেন্দ্রের তুলনায় বেশি দামে ভ্যাকসিন বিক্রি করা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এনিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন তিনি।তবে বাংলায় অবশ্য ভোটের আবহে কেন্দ্রের বিজেপি ও রাজ্যের তৃণমূল, দুই দলই জানিয়ে রেখেছে, ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।