পেগাসাস স্পাইওয়্যার ইস্যুতে সোমবার নতুন করে সুর চড়াল শিবসেনা। শিবসেনার তরফে দলীয় মুখপত্র 'সামনা'য় একটি সম্পাদকীয়তে ফের একবার মোদী সরকারকে একহাত নিয়ে বার্তা দিয়েছে উদ্ধব ঠাকরের দল। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মার্কিন ওয়াটার গেট দুর্নীতির থেকেও বড় ইস্যু পেগাসাস। উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্ক টাইমেসর প্রতিবেদনের পর, শিবসেনা দাবি করেছে যে, এই ইস্যুতে মোদী সরকার মিথ্যা প্রচার করেছে।
উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ইজরায়েলের এই স্পাইওয়্যার কিনেছে ভারত। সেই সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইজরায়েল সফরকালে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তির ভিত্তিতেই ভারতে পেগাসাস আসে বলে দাবি ওই সংবাদপত্রের। এবার সেই ইস্যুকে সামনে রেখে, শিবসেনা মুখপত্র মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের সময়কালে ওয়াটার গেট, দুর্নীতির জেরে প্রেসিডেন্টকে মসনদ ছাড়তে হয়েছিল। নিউ ইয়র্ক টাইমসের দাবি, পেগাসাস ও একটি মিসাইল নিয়ে ২০১৭ সালে ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই চুক্তিই ছিল সেই সফরের কেন্দ্রীয় আকর্ষণ, দাবি করছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। এদিকে শিবসেনার সংবাদপত্র 'সামনা'য় লেখা হয়েছে, 'নিউ ইয়র্ক টাইমস মোদী সরকারের সমস্ত মিথ্যা ফাঁস করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২৩০১৭ সালে মোদী সরকার পেগাসাস নিয়ে আসে ইজরায়েল থেকে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে। এটাই হয়েছে কর দাতাদের টাকা দিয়ে।'
শিবসেনার 'সামনা'র সম্পাদকীয় মোদীকে কটাক্ষ করে লিখেছে, 'এখ ন উনি ভীত। করদাতাদের টাকা দিয়ে মানুষের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করা হয়েছে। এটা গণতন্ত্রের ধ্বংসের শামিল।' শিবসেনার দাবি, যদি গত বছর পেগাসাস ইস্যুতে যৌথ পার্লামেন্টারি কমিটির তদন্ত হত, তাহলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের ফাঁস করা তথ্যের থেকেও তা বড় হত। সামনা-য় স্পষ্ট লেখা হয়েছে, 'মোদী পেগাসাস ইস্যুতে সংসদে ও সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যা কথা বলেছেন।' উল্লেখ্য, এককালে বিজেপির ঘনিষ্ঠ সঙ্গী হিসাবে পরিচিত ছিল ঠাকরে শিবিরের শিবসেনা। তবে শেষবার মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে সমীকরণ পাল্টে যায় দুই দলের। বিজেপির হাত ছেড়ে এনসিপি, কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার গড়ে শিবসেনা। এরপর থেকেই মারাঠা রাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিপক্ষে গিয়ে সুর চড়া করেছে শিবসেনা।