আসছে বছরেই কি মডার্না’র সিঙ্গল-ডোজ ভ্যাকসিন নিতে পারবে দেশবাসী? তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে এই বিদেশি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা। ২০২২ সালের মধ্যে মডার্না ভারতে তাদের সিঙ্গল-ডোজ ভ্যাকসিন চালু করার পরিকল্পনা করেছে। সেজন্য তারা সিপলা ও অন্যান্য ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছে।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সিপলা ২০২২ সালের জন্য মডার্না-র কাছ থেকে পাঁচ কোটি ডোজ সংগ্রহ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সেজন্য তারা মডার্নাকে ভ্যাকসিনের স্থায়ীত্ব, নীতিগত ও নিয়ামক সংস্থার মারফত কেন্দ্রের অনুমোদন প্রাপ্ত করার জন্য অনুরোধ করেছে। ওদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকও সিপলার অনুরোধের প্রেক্ষিতে মডার্নাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছে।
মডার্না ভারতকে জানিয়েছে যে, চলতি বছরের বেঁচে যাওয়া ভ্যাকসিনগুলো কাউকে বিতরণ করার প্রয়োজন নেই। কারণ, তারা আশা করছে যে, আগামী বছর থেকে ভারতে তাদের সিঙ্গেল-ডোজ করোনা ভ্যাকসিন চালু করতে পারবে। আবার অদূর ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকাগুলো রফতানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্য দিকে, ভ্যাকসিন নিয়ে সিপলার সঙ্গে দেশের অন্যান্য টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোর আলোচনা চলছে। ওদিকে মার্কিন টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজার নিজেই চলতি বছরেই পাঁচ কোটি ডোজ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তবে তারা দেশের ওষুধ নিয়ামক সংস্থার কাছ থেকে নিয়মে প্রয়োজনীয় শিথিলতা ও ক্ষতিপূরণ চেয়েছে।
অন্য দিকে, ফাইজার পাঁচ কোটির ভ্যাকসিনের ডোজ উপলব্ধ করার ইঙ্গিত দিয়েছে। চলতি বছরেই তারা কেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি করবে। কেন্দ্রকে ভ্যাকসিনের অর্থ ভারতের ফাইজার সংস্থাকে করতে বলেছে এই মার্কিন সংস্থা। সেক্ষেত্রে জুলাই মাসে ১ কোটি, আগস্টে ১ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২ কোটি ও অক্টোবরে ১ কোটি ভ্যাকসিন বরাদ্দ করবে তারা।এক আধিকারিকের মতে, ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য ফাইজার কেন্দ্রের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ চেয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশের করোনা টিকাদান কর্মসূচিতে বর্তমানে দু’টি ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে সিরামের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভাক্সিন। তাছাড়া রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ভিও সম্প্রতি কেন্দ্র অনুমোদন করেছে।