বাংলার রাজনীতিতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বামেদের মধ্যে সম্পর্ক একেবারে আদায়, কাঁচকলায়। কিন্তু তামিলনাডুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রীতিমতো বিবাহের বন্ধনে মিলিত হতে চলেছেন বাম মতাদর্শে বিশ্বাসী ‘সোশ্যালিজম’।কিন্তু এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, ইনি হলেন তামিলনাড়ুর এক যুবতি।আর ‘সোশ্যালিজম’ হলেন একজনের নাম, যিনি মমতাকে বিয়ে করতে চলেছেন।
অনেকেই হয়ত অবাক হবেন, ‘সোশ্যালিজম’ আবার নাম হয় নাকি।হ্যাঁ হয়।তামিলনাডুর সালেমের সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক এ মোহনের তিন ছেলে।যেহেতু তিনি বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী, সেহেতু তিন ছেলের নামকরণ তিনি বামপন্থী মতাদর্শের ওপর ভিত্তি করেই করেছিলেন।একজনের নাম দিয়েছিলেন সোশ্যালিজম।একজনের নাম দিয়েছিলেন কমিউনিজম ও অপরজনের নাম দিয়েছিলেন লেনিনিজম। নামকরণের সময়ে তখন কে জানত, এই কাণ্ডটি করে বসবেন সোশ্যালিজিম।
সোশ্যালিজম এমন একটা পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করতে চলেছেন, যারা আবার কংগ্রেস সমর্থক।মেয়ের নাম রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেই।বাংলায় প্রবাদ আছে, তেলে জলে মিলমিশ খায় না।কিন্তু এক্ষেত্রে কিন্তু তা হয়নি।তেলে জলে ভালোই মিলমিশ খেয়েছে।এমনকী সোশিলিজিমের পরিবার তো ভাবতেই পারেননি, এমন একটা কাণ্ড করে বসবেন সে।কিন্তু ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে মেনেই নিতে হচ্ছে এই বিয়ে।২০২৪–এর লোকসভা ভোটে বাম–মমতা একমঞ্চে আসুক বা না আসুক, আগামী ১৩ জুন কিন্তু লেনিনিজিম, কমিউনিজিম ও মোহনের নাতি মাক্সিজিমকে সাক্ষী রেখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন সোশ্যালিজিম।তাও আবার মমতার সঙ্গে। করোনা আবহে ছোট্ট করেই হচ্ছে এই অনুষ্ঠান।নেটদুনিয়ায় সকলের শুভেচ্ছা কামনা করেছেন এই নতুন দম্পতি।
নিজের ছেলেদের নামকরণ প্রসঙ্গে এই বামপন্থী নেতা জানান, '১৮ বছর থেকে রাজনীতিতে আছি।আমি বাবা, ঠাকুরদার হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছিলাম।সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।তখনও আমি বিয়ে করিনি।তখন থেকেই ঠিক করেছিলাম, আমার ছেলেদের নাম বামপন্থী মতাদর্শের ওপর রাখব।আমার ছেলেমেয়েরাও সব পার্টির কাজেই যুক্ত।কমিউনিজম একজন আইনজীবী।আর দুই ছেলের ব্যবসা আছে।বিয়ের খবর শুনে সোমবার থেকে প্রায় ৫০০টা করে ফোন আসছে।প্রতিদিন ১৫০টি করে ফোন আসছে।কোনও কোনও ফোন আসছে দুবাই থেকে, আরো বাইরে থেকে ফোন আসছে।যদি পুরো ঘটনায় আমরা খুবই বিস্মিত, তবে আমার ভাবী পুত্রবধূ বেশ আনন্দেই আছেন।’