মারাত্মক সংকটে শ্রীলঙ্কা। গণবিক্ষোভ আছড়ে পড়েছে রাস্তায়। জনতার দখলে রাষ্ট্রপতির বাসভবন। তিনি ভবন ছেড়ে পালিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে ইস্তফা দিয়েছেন। সূত্রের খবর, রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। উত্তেজিত জনতা তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলেছে।
এদিকে শনিবার সর্বদলীয় মিটিংয়ে বসেছিলেন রনিল, স্পিকার সহ অন্যান্যরা। মোটামুটি চারটি বিষয়ে সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনিয়ে টুইট করেছেন এমপি ডুলাস আলাহাপেরুমা। তিনি লিখেছেন, প্রথমত প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শীঘ্রই ইস্তফা দেবেন। তবে পরবর্তী সময়ে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দেন।
দ্বিতীয়ত স্পিকার ইয়াপা মহিন্দ্রা হবেন কার্যকরী প্রেসিডেন্ট।
তৃতীয়ত, সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে দ্রুত নতুন প্রেসিডেন্ট মনোনীত করা হবে।
চতুর্থত ওই সপ্তাহেই সমস্ত দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি জোট সরকার তৈরি করা হবে।
মূলত এই চারটি সিদ্ধান্ত হয় এদিনের সর্বদলীয় মিটিংয়ে। এদিকে রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে একটি অডিও বার্তায় জানিয়েছেন, বর্তমানে এই দেশে জ্বালানির সংকট রয়েছে। খাদ্যের সংকট রয়েছে। আইএমএফের সঙ্গে আমাদের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে। সেক্ষেত্রে এই সরকার যদি ছেডে় দেয় তবে নতুন সরকার গঠন করা অত্যন্ত দরকার।
তবে নতুন জোট সরকার শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির কতটা উন্নতি করতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।