বিদেশি ঋমের কারণে সেদেশের আর্থিক পরিস্থিতি ক্রমেই সংকটের দিকে যেতে শুরু করেছিল। শ্রীলঙ্কার করুণ অর্থাবস্থার কারণে সেদেশে বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে জ্বালানির সমস্যা তুঙ্গে। কয়েক কিলোমিটার লাইন দিয়ে সেখানে পাওয়া যাচ্ছে জ্বালানি তেল কিম্বা শিশুর দুধ। ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা নেই বিদ্যুৎ। এই পরিস্থিতির মাঝে দেশজোড়া বিক্ষোবের মুখে সেদেশের রাষ্ট্রপতি রাজাপকসে। আর আজ সেই রাজপকসের সরকার শ্রীলঙ্কাকে 'ঋণ খেলাপী' বলে ঘোষণা করল।
শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রকের তরফের জানানো হয়েছে, ' শ্রীলঙ্কা সরকারের নীতি হবে স্বাভাবিক ঋণ পরিষেবা স্থগিত করা।' এরফলে সেদেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের যে ঋণের সমঝোতা রয়েছে তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এছাড়াও আন্তর্জাতিক বন্ডে এর প্রভাব পড়বে। কার্য কলম্বো জানিয়ে দিয়েছে যে তারা কোনও বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না। এর দ্বারা কার্যত রাজাপকসের সরকার দেশকে দেউলিয়া বলে ঘোষণা করল। শ্রীলঙ্কা জানিয়েছে, যে সমস্ত ঋণদাতা, বা ভিনদেশগুলি যারা ঋণ দিয়েছিল , তারা দাদের মতো করে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে। সুদ আদায়ের ক্ষেত্রে এই পন্থার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে, এমন চরম আর্থিক অবস্থার মধ্যে শ্রীলঙ্কার মানুষ দোষারোপ করছেন রাষ্ট্রপতি রাজাপকসেকে। দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মাঝে শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রপতিভবন ঘেরাও করা হয়। চলে হিংসা, বিক্ষোভ। তবে সংকট থেকে সুরাহা কিছুতেই পাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা। এদিকে, ঋণ খেলাপী নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত, শ্রীলঙ্কা একাই এই ঋণ খেলাপী নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে , ঋণের অপরপক্ষের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেনি কলম্বো। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার সামনে রয়েছে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক ঋণের বোঝা।