কোভিড আবহে কেরালায় পুর ও পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য পঞ্চায়েত আইন সংশোধন করে কোভিড আক্রান্ত ভোটারদের জন্য প্রক্সি ভোট ও পোস্টাল ব্যালট প্রক্রিয়া কার্যকর করতে রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখে অনুরোধ জানালেন রাজ্য ইলেকশন কমিশনার ভি ভাস্করণ।
আগামী অক্টোবর মাসে কেরালায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্চান কমিশনের কাছে এটাই সেমি ফাইনাল বলা যায়। কোভিড আক্রান্ত ও কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভোটারদের কথা ভেবে তাই প্রক্সি ভোট অথবা পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করা যায় কি না, রাজ্যপ্রশাসনের কাছে সেই আবেদন জানিয়েছেন ভাস্করণ।
তিনি জানিয়েছেন, সংক্রমণ বাড়ার ফলে কেরালার বেশ কিছু অংশে নতুন করে লকডাউন আরোপ করা হয়েছে এবং সেই কারণে সমস্যায় পড়বেন ৬৫ বছরের উর্ধ্বে থাকা ভোটাররাও। এমতাবস্থায় রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগ সবুজ সংকেত দেওয়া পরে নির্বাচন আয়োজিত করতে বসে সব দিকখতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করছে কমিশন।
অক্টোবরে পঞ্চাযেত নির্বাচনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে সিপিএম। সিপিএম নেতা এ অনন্তনাথন বলেছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে অতিমারীর অছিলায় কোভিড আক্রান্তদের ব্রাত্য রাখা অনৈতিক। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে কংগ্রেস প্রতিবাদে নামবে বলে জানিয়েছে।
কেরালায় শেষ গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে শবরীমালা ইস্যুতে ভরাডুবি হয়েছে শাসক দল সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ জোটের। গত লোক সভা নির্বাচনে ২০টি আসনের মধ্যে ১৯টিতেই পরাজিত হয়েছেন বাম প্রার্থীরা। চাপে পড়ে শবরীমালা মন্দির সম্পর্কে পূর্ববর্তী কড়া অবস্থান থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে আসতে হয়েছে বামেদের। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন এই কারণেই শাসক জোটের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতিমারী সংকটের তোয়াক্কা না করে তাই রাজ্যে নির্বাচন আয়োজন করা তাদের পক্ষে জরুরি।
এ দিকে বুধবার ২,৩৩৩ জন নতুন রোগীর সন্ধান পাওয়ার পরে কেরালায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা আপাতত ৫০,১৭৬ ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩২,৬১১ জন এবং অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৭,৩৮২ জন। গতকাল ৭ জনের মৃত্যুতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৩।