অক্সিজেনের ট্যাঙ্কারকে অ্যাম্বুলেন্সের মতো বিবেচনা করা হবে। ট্যাঙ্কারের মসৃণ চলাচলেরও বন্দোবস্ত করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রাজ্যগুলি এমনটাই আশ্বাস দিয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে দাবি করলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
করোনা টিকাকরণ ও লকডাউনের ধরন, প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের মতো বিষয়গুলি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় অক্সিজেনের বিষয়টি আলোচনা করা হয়। অক্সিজেনের আকালের মোকাবিলায় সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের নিয়ে কেন্দ্রকে টাস্ক ফোর্স গঠনের প্রস্তাব দেয় পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্য সরকারের আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন, 'অক্সিজেনের বিষয়টার ক্ষেত্রে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করতে পারে কেন্দ্র।’ সেইসঙ্গে করোনা টিকার ভিন্ন দাম নিয়েও সরব হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিকাশ সিং বলেন, ‘গত ৭৩ বছর ধরে কেন্দ্র এবং রাজ্যের জন্য টিকার দাম এক থাকত। প্রথমবার এরকম কেন্দ্র এবং রাজ্যের জন্য ভিন্ন দাম হল।'
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউকে 'জাতীয় সংকট' হিসেবে অভিহিত করে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকতে পারে না সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টে করোনা সংক্রান্ত মামলা চলছে, তা লঘু করার জন্য করোনা মোকাবিলায় জাতীয় নীতি তৈরি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা চলছে না। বরং ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, নিজেদের আঞ্চলিক সীমানার মধ্যে করোনা পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে হাইকোর্টগুলি।