দু'বছর আগে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় জেলায় প্রথম হয়েছিলেন। ৩.৮৩ কোটি টাকার স্কলারশিপ পেয়ে আমেরিকায় স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন। সোমবার ‘দুর্ঘটনা’-য় মৃত্যু হল বছর ১৯-এর সেই মেধাবী পড়ুয়া সুদীক্ষা ভাটির ৷ ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বুন্দলশহরের।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার ছোটো ভাইয়ের সঙ্গে বাইকে করে মামার বাড়িতে যাচ্ছিলেন সুদীক্ষা। ঔরঙ্গাবাদ গ্রামের কাছে একটি রয়েল এনফিল্ডের সঙ্গে ধাক্কা হয়। বাইক থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন দীক্ষা। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
যদিও সুদীক্ষার পরিবারের অভিযোগ, দুর্ঘটনার আগে রয়েল এনফিল্ড আরোহীরা তাঁকে কটূক্তি করছিল। এমনকী বাইক চালাচ্ছিলেন সুদীক্ষার কাকা সত্যেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘দুই এনফিল্ড আরোহী আমাদের কিছুক্ষণ ধরে ধাওয়া করছিল। ওরা আমাদের টপকে গিয়ে আচমকা ব্রেক কষে। আমাদের বাইকটা এনফিল্ডে ধাক্কা মারে। আমি ডানদিকে পড়ে যাই এবং পিছন দিকে পড়ে যায় সুদীক্ষা। ওর মাথায় গুরুতর চোট লাগে, রক্তক্ষরণ হয় এবং মারা যায়।’
যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, সুদীক্ষা নাকি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে যাচ্ছিলেন। সাংবাদিক বৈঠকে বুন্দলশহরের জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার বলেছেন, ‘ট্র্যাফিকের কারণে ওঁদের বাইকের সঙ্গে অপর একটি বাইকের সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় পুলিশ আহতকে সিএইচসি ঔরঙ্গাবাদে নিয়ে যা। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর কাকা বাইক চালাচ্ছিলেন না এবং ওঁনার বক্তব্য ভুয়ো। ঘটনাস্থল থেকেই সুদীক্ষার ভাইয়ের ভিডিয়ো করা বক্তব্য আছে আমাদের কাছে। দুর্ঘটনায় সময় ওঁর ভাই বা প্রত্যক্ষদর্শীরা কেউ কটূক্তির ঘটনা জানাননি। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’