তালাক-ই-হাসানের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া দুই মহিলার ভিন্ন ভিন্ন মামলা ঘিরে সুপ্রিম কোর্ট সদ্য তার পর্যবেক্ষণ প্রকাশ্যে এনেছে। এই মামলায় দুই আবেদনকারী মহিলার স্বামীদের নোটিস পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত সাফ জানিয়েছে যে মুখ্য বিষয়টি হল দুই মহিলাতে পরিত্রাণ যোগানো।
উল্লেখ্য, তালাক-ই হাসানের মাধ্যমে তিন মাস ধরে তিন বার 'তালাক' উচ্চারণ করে বিবাহ বন্ধন থেকে স্ত্রী দের অব্যহতি দেন তাঁদের স্বামীরা। দুই মামলা ঘিরে এই ঘটনার সাংবিধানিক বৈধতার প্রশ্নে না গিয়ে আদালত, সাফ জানিয়েছে আবেদনকারী মামলার নিষ্পত্তির দিকটির দিকে এগনোই লক্ষ্য। উল্লেখ্য, প্রতি মাসে একবার 'তালাক' শব্দটি উচ্চারণ করে তিন মাসে তিনবার এই শব্দ উচ্চারণের মধ্য দিয়ে তালাক-ই হাসানের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এই দুই মহিলার। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস কে কৌল ও বিচারপতি অভয় এস ওকা, এই দুই মামলার আবেদনকারী মহিলা নাজরিন নিশা ও বেনজির হিনার স্বামীদের নোটিস পাঠিয়েছে। এদিকে, আবেদনে এই তালাক-ই হাসানের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনার মেধা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতোকোত্তরে ভর্তির ফর্ম ফিলআপ ক'দিন পরই! জানুন তারিখ
আদালত সাফ জানিয়েছে, 'আমাদের সামনে দুজন মানুষ (নাজরিন নিশা ও বেনজির হিনা) রয়েছেন, তাঁদের পরিত্রাণ দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।'বেনজির হিনা তাঁর আবেদনে এমন তালাক নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রকে একটি সাধারণ গাইডলাইন গড়ে তোলার আবেদন দানান, এই ধরনের তালাকের ক্ষেত্রে। উল্লেখ্য, তালাক-ই-হাসানের মাধ্যমে কাউকে বিবাহ বন্ধন থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইলে, তিন মাসে তিনবার তালাক শব্দটি বলতে হবে। শব্দটি প্রথম ২ বার দুই মাসে বলার পর যদি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো হয়ে যায়, তাহলে আর ওই বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয় না।