1/4 হিজাব না পরা নিয়ে নয়, বরং হিজাব ঠিক করে না পরা নিয়ে এবার বড়সড় অভিযোগে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে গ্রেফতার করা হল একের পর এক মহিলাকে। আফগানিস্তান জুড়ে মহিলাদের কঠিন ড্রেস কোড মেনে চলার নিয়ম আরও কঠিনভাবে লাগু করতেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, তালিবানি ফরমান ছিল যে, শুধুমাত্র চোখ ছাড়া আর কোনও কিছু দেখা যাবে না শরীরে, এমন হিজাব পরতে হবে। তবে সেই ফরমান যে মহিলারা না মেনে অন্য ধরনের হিজাব পরেছেন, তাঁদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। (প্রতীকী ছবি)
2/4 বহু দিন ধরেই আফগানিস্তানে মহিলাদের ওপর একের পর এক তালিবানি ফরমান জারি হতে শুরু করেছে। আফগানিস্তানে মহিলাদের পড়াশোনা, চাকরি, জনসমক্ষে আসা নিয়ে একাধিক বিধি লাগু রয়েছে। এদিকে আফগানিস্তানে ‘হিজাব ঠিক করে না পরা’ নিয়ে একের পর এক মহিলার গ্রেফতারি নিয়ে সেভাবে কিছু বলতে পারেননি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মুখপাত্র আবদুল গফর ফারুক। (রয়টার্স)
3/4 উল্লেখ্য, ২০২১ সাল থেকে কাবুল দখল করে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় তালিবান। তারপর সেদেশে মহিলাদের ওপর একাধিক বিধি চাপিয়েছে তালিবান। এদিকে, হিজাব নিয়ে কঠিন বিধি রয়েছে ইরানে। সেখানে মহিলাদের হিজাব পরা আবশ্যিক, এমন বিধি দশক পুরনো। এদিকে, ২০২২ সালে তালিবানের সরকার আফগানিস্তানে যে বিধি লাগু করেছে, তাতে বলা হয়েছে, মাথা থেকে পা পর্যন্ত সর্বাঙ্গ বোরখায় ঢাকতে হবে। সেই হিজাবই সঠিক। আর যিনি এমন হিজাব পরবেন না তিনি আইন বহির্ভূত কাজ করেছেন বলে গণ্য হবে। ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)
4/4 এদিকে, তালিবানের মন্ত্রক মহিলাদের প্রতি অ্যাডভাইজারিতে বলেছে, সঠিকভাবে হিজাব পরতে হবে। মন্ত্রক জানাচ্ছে, যাঁদের সঠিক হিজাব না পরায় গ্রেফতার করা হয়েছে, ‘তাঁরা গুটি কয়েক মহিলা যাঁরা সমাজে খারাপ হিজাব ছড়িয়ে দিচ্ছেন।’ এছাড়াও বলা হয়েছে, ‘তাঁরা ইসলামিক আদর্শ ও রীতিকে লঙ্ঘন করেছেন, তাঁরা সমাজ ও বাকি বোনদের খারাপ হিজাব পরার জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন। ’