একবছর আগে মার্কিন সেনা কাবুল ছেড়েছিল, বুধবার তার প্রথম বার্ষিকী পালন করল তালিবান। তালিবান জানিয়েছিল, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ও তাদের ক্ষমতা দখলের প্রথম বার্ষিকী তারা পালন করবে 'ফ্রিডম ডে' বা স্বাধীনতা দিবস হিসাবে। বুধবার সারাদিন তারা সেই স্বাধীনতা দিবসের উৎসব পালন করল। মার্কিন ও বিদেশি সেনার কাছ থেকে তারা যে সামরিক যান দখল করেছিল, তার প্রদর্শনী করা হল। সেই সঙ্গে তারা দাবি জানাল, এক বছর হয়ে গেছে, এবার আন্তর্জাতিক দুনিয়াতাদের স্বীকৃতি দিক।
তবে তাদের এই উৎসব ও প্যারেডে বিদেশি মিডিয়াকে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি।
'ফ্রিডম ডে'
তালেবান সরকারের মুখপাত্র বুধবার সকালে আফগানদের 'ফ্রিডম ডে'-র শুভেচ্ছা জানান। সরকার বিবৃতি দিয়ে জানায়, 'মার্কিন দখলদারি থেকে দেশের মুক্তির এক বছর পূর্ণ হল। এই দখলদারি মুক্ত করতে প্রচুর মুজাহিদিন প্রাণ দিয়েছেন, অসংখ্য বাচ্চা অনাথ হয়েছে, প্রচুর নারী বিধবা হয়েছেন।' টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, তালেবান যোদ্ধারা মার্চ করছেন এবং তাদের মাথার উপর দিয়ে হেলিকপ্টার যাচ্ছে। এই উৎসবের অঙ্গ ছিল আমেরিকার নেতৃত্বাধীন বাহিনীর কাছ থেকে দখল করা সামরিক যান। সেই যানগুলিও প্যারেডের অংশ নিয়েছিল।
উৎসব অবশ্য মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হয়ে যায়। রাতের আকাশ ভরে যায় বাজির আলোয়। আফগানিস্তানের সরকারি ভবনে ব্যানার লাগানো হয়েছিল। সেখানে অ্যামেরিকা, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের বিরুদ্ধে জয়ের কথা বলা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
মার্কিন বাহিনীর কাবুল ত্যাগের বর্ষপূর্তির দিনে তালিবানের প্রধান দাবি ছিল, তাদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। তালিবানের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরের অভিজ্ঞতা হল, আফগানিস্তানের মানুষকে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যায় না। বিদেশি চাপ ব্যর্থ হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তালিবান সরকার হল দেশের ন্যায্য সরকার, তারা আফগানিস্তানের সাহসী মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে তাদের আবেদন, তারা যেন এই সরকারকে স্বীকৃতি দেয়।
কিন্তু মানবাধিকার ও নারীদের অধিকারের প্রসঙ্গ তুলে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই আফগানিস্তানের তালিবান শাসনকে স্বীকৃতি দেয়নি। ২০২১ সালের ৩১ অগাস্ট মার্কিন সেনা কাবুল ছাড়ে। তার আগের দুই দশকে প্রায় ৬৬ হাজার আফগান সেনা, ৪৮ হাজার বেসামরিক মানুষ এবং ২৪ হাজার মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)