সাম্প্রতিককালে বারবার আফগানিস্তান প্রসঙ্গ এলেই উঠে এসেছে হিবাতুল্লা আখুন্দজাদার নাম। তালিবান কাবুর দখল করার পর থেকেই আখুন্দজাদাকে নিয়ে শুরু হয়েছিল জোর জল্পনা। তালিবানের এই শীর্ষ নেতাকে অবশ্য দেখা যায়নি জনসমক্ষে। ইন্টারনেটেও তার একটি মাত্র ছবি উপলব্ধ। এই পরিস্থিতিতে অনেকের মনেই সন্দেহ ছিল, আদৌ বেঁচে আছে তো আখুন্দজাদা? এই প্রশ্নের জবাব যে 'না', তা শেষ পর্যন্ত মেনে নিল তালিবান। এই প্রসঙ্গে তালিবানি নেতা আমির আল মুমিনিন সংবাদমাধ্যমে জানান, পাকিস্তানের বাহিনী হাতে ২০২০ সালেই মৃত্যু হয়েছিল আখুন্দজাদার।
তালিবানের দাবি, পাক সেনা পরিচালিত এক আত্মঘাতী হামলাতে ২০২০ সালে মৃত্যু হয় আখুন্দজাদার। ২০১৬ সালে মোল্লা আখতার মনসুর এক ড্রোন হামলায় নিহত হলে তালিবান প্রধান হন আখুন্দজাদা। এই আবহে তালিবান আফগানিস্তান দখল করার পর সরকারের সম্ভাব্য তালিকায় বারংবার উঠে আসে আখুন্দজাদার নাম। তবে জল্পনা চৈরি হলেও সরকার পরিচালনায় দেখা যায়নি আখুন্দজাদাকে। তারপরই আরও তীব্র হয় আখুন্দজাদার মৃত্যুর জল্পনা। উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল যে পাক সেনার হাতে মৃত্যু হয়েছে আখুন্দজাদার। তবে সেই বিষয়ে কোনও কথা বলেনি তালিবান।
কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিল আখুন্দজাদা। মহিলাদের বিষয়েও চরমপন্থা অবলম্বনের পক্ষপাতী ছিল এই তালিব নেতা। ২০১৬ সাল থেকে তালিবানের যে কোনও রাজনৈতিক, সামরিক বা ধর্মীয় ক্ষেত্রে শেষ কথা বলতেন তিনিই। আফগানিস্তানের কান্দাহারে বাস করত আখুন্দজাদা। কোনওদিনই বিদেশ যায়নি আখুন্দজাদা। এমনকি আন্তর্জাতিক বিষয়ে কোনও জ্ঞানই তার ছিল না বলে জানা যায়।
এদিকে আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পর থেকেই ওই দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে সেখানে। যা শুরু হয়েছিল কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী হামলা দিয়ে। গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের কুন্দুজে একটি শিয়া মসজিদে হামলা চালানো হয়। একই ভাবে গতকালও কান্দাহারেও এক শিয়া মসজিদে হামলা চালায় আইএস-খোরাসান জঙ্গিরা।