পদ্মা সেতুর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মূল সেতুর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। দোতলা সেতুটির ওপরে থাকবে গাড়ি আর নিচ দিয়ে ছুটবে ট্রেন। এই সেতুটি নির্মাণ করে চমকে দিতে চায় বাংলাদেশ। কিন্তু তার আগেই যেন ঘটল ছন্দপতন। কারণ সেখানে ধরা পড়েছে মারাত্মক ত্রুটি। সেই ত্রুটি ঠিক করার জন্য ভাঙতে হচ্ছে সেতুর বাইরের উড়ালপথের একটি পিলার (ভায়াডাক্ট)।
এই পিলার ভাঙতে হওয়া এবং ত্রুটি ধরা পড়ার জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করছে সেতু কর্তৃপক্ষ এবং রেলওয়ে বিভাগ। এমনকী এই জটিলতা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় পর্যন্ত পৌঁছেছে। এরপর বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা হয়। কারণ যেখানে সংযোগকারী রাস্তার ওপর দিয়ে রেলপথটি অতিক্রম করেছে, সেখানে উপযুক্ত উচ্চতার ঘাটতি রয়েছে। তাতে করে যান চলাচল বিঘ্নিত হতে পারে।
এখানে মূল সেতুকে মাটির সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। মাওয়া প্রান্তে উড়ালপথের (ভায়াডাক্ট–২) পিয়ার নম্বর ১৩ থেকে ১৬ পর্যন্ত মূল নকশায় তিনটি স্প্যান ছিল ৩৮ মিটার করে। সেখানে গার্ডারের ধরণ ছিল প্রিকাস্ট বক্স। এতে উড়ালপথের একটি পিলার ভেঙে ত্রুটি ঠিক করতে হবে। বাংলাদেশের অন্যতম বড় প্রকল্প পদ্মা সেতুর নির্মাণ। যা শুরু হয় ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুন মাস নাগাদ শেষ হবে পদ্মা সেতুর সম্পূর্ণ কাজ।